চুলের জন্য ১০ টিপস

ঘন, ঝলমলে, উজ্বল চুল কার না চাই। চুল ঘন বা সুন্দর থাকলেই কাজ চুকে যায় না। নিতে হয় যত্ন-আত্তি। তা না হলে আবার চুলের জন্য কী করবো লিখে ধরনা দিতে হবে গুগলের কাছে।

দূষণের এই দিনে অনেকেরই অভিযোগ চুল পাতলা ও উজ্জ্বলতা হারাচ্ছে। কন্ডিশনার চুলকে শুধু নরমই করে। এর বাইরে কিছু নয়। এক্ষেত্রে সিলিকনযুক্ত কিছু পণ্য ব্যবহার করুন। ওই সব পণ্যে থাকা ডাইমেথিকন বা সাইক্লোমেথিকন-এর প্রলেপ চুলকে চকচকে করবে।

কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল পরিষ্কার করবেন। এতে উজ্জ্বলতা থাকবে। অতিরিক্ত গরম পানি চুলের গোড়ায় থাকা প্রাকৃতিক তেলের ক্ষতি করে। এতে চুল হয়ে পড়ে নিষ্প্রাণ। সে কারণে আবার অতিমাত্রায় ঠান্ডা পানি ঢালতে যাবেন না। হালকা গরম পানি দিয়ে শ্যাম্পু করুন। শ্যাম্পু করার সময় আঙুল দিয়ে হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন।

প্রোটিন দিয়ে সারিয়ে তুলুন চুলের ফেটে যাওয়া আগা। ঘন ঘন চুলে ব্লিচ বা রঙ করলে চুলের বাইরের আবরণ নষ্ট হয়ে যায়। আগাতেও ফাটল ধরে। বেছে নিতে হবে প্রোটিনযুক্ত কন্ডিশনার।

খুশকি দূর করতে তেল কোনও কাজে আসে না। কারণ খুশকি চর্মরোগের কারণে হয়। এক্ষেত্রে তেল চুলের গোড়ায় ঘসলে ত্বকের সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ জাতীয় শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত। শ্যাম্পু লাগিয়ে পাঁচ মিনিট রেখে দিন। এরপর খানিকটা ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন।

চুল আঁচড়ানো ভালো। তাই বলে দিনে শতবার আঁচড়ানো যাবে না। এক দুবার আঁচড়ান। তবে কখনোই ভেজা চুল আঁচড়াবেন না। ভালোমানের চিরুনি ব্যবহার করুন, ব্রাশ নয়।

চুলে ব্লো-ড্রাই করা থেকে বিরত থাকুন। ব্লো-ড্রাই করলে অতিরিক্ত তাপে চুল প্রাণ হারাতে পারে। যদি ব্লো-ড্রাই করতেই হয়, হেয়ার ড্রায়ারের তাপমাত্রা ন্যূনতম রাখুন।

সুইমিং পুলে সাঁতার কাটলে ক্যাপ পরে নিন। নামার আগেই চুল সাধারণ পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিন। এটা করলে পুলের ক্লোরিনযুক্ত পানি চুল বেশি শুষে নিতে পারে না।

চুল কখনোই বেশি শক্ত করে বাঁধবেন না। এতে গোড়ার ক্ষতি হতে পারে। রাতে হালকা করে চুল বেঁধে শুতে পারেন।

নামদামি ব্র্যান্ডের পণ্য কেনার আগে বুঝে নিন চুলের ধরন। এমনকি রঙ করা চুলের জন্যও রয়েছে আলাদা শ্যাম্পু।

হঠাৎ চুল পড়া বাড়লে বুঝতে হবে শারীরিক কোনও সমস্যা আছে। হতে পারে কোনও রোগ বা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

সূত্র: ওয়েব এমডি