গরমে আরাম পেতে গোসলের পানিতে কী মেশাবেন?

গ্রীষ্মের দাবদাহে ওষ্ঠাগত প্রাণ। বারবার গোসলেও মিলছে না শান্তি। এসময় গোসলের পানিতে এমন কিছু উপাদান মেশাতে পারেন যেগুলো ঝরঝরে রাখবে শরীর। ঘামও কম হবে। জেনে নিন প্রশান্তি পেতে কোন উপাদানগুলো মেশাবেন পানিতে।

 

সি সিল্ট মিনারেল
আমাদের ত্বক সরাসরি সোডিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম শোষণ করতে সক্ষম। সামুদ্রিক লবণ বা সি সল্ট মিশিয়ে নিতে পারেন গোসলের পানিতে। পাশাপাশি আরও কিছু ভেষজ মেশান। এতে শরীর যেমন ঝরঝরে হবে, তেমনি শরীরে ব্যথা থাকলে কমবে সেটাও। ১/৪ কাপ সামুদ্রিক লবণ, ১/৪ কাপ এপসম লবণ (ম্যাগনেশিয়াম সালফেট), ১/৪ কাপ বেকিং সোডা, ১ টেবিল চামচ করে শুকনো ল্যাভেন্ডারের কুঁড়ি, রোজমেরি এবং থাইম পাতা কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে নিন।

ওটমিল ও ক্যামোমাইলে
গরমে ত্বকে লালচে ভাব ও চুলকানি দেখা দিলে গোসলের পানিতে মেশান ওটমিল ও ক্যামোমাইলে। শরীর শীতল হবে। একটি মোজা অথবা নরম জালিকা পড়ের মধ্যে একই পরিমাণে ওটস ও শুকনো ক্যামোমাইল নিয়ে মুখ ভালো করে বেঁধে তা ঈষদুষ্ণ গরম পানির পাত্রে রাখুন। কিছুক্ষণ পর গোসল করে নিন পানিতে।

পেপারমিন্ট ও শসা
একটি বড় শসা ব্লেন্ড করে রস বের করে নিন। এই রস গোসলের পানিতে মিশিয়ে নিন। ২ কাপ এপসম লবণ এবং ৩-৪টি পেপারমিন্ট টি ব্যাগ ফেলে দিন। এর সঙ্গে চাইলে পেপারমিন্ট এসেনসিয়াল অয়েল কিংবা পছন্দমতো রিজ্যুভিনেটিং অয়েল মেশানো যায়।

এসেনশিয়াল অয়েল বাথ সল্ট
বারবার সর্দি-কাশি ও অ্যালার্জিতে ভুগলে এই পদ্ধতিতে গোসলের পানি তৈরি করুন। কুসুম গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা পছন্দের এসেনসিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন। বাথ সল্ট বানানোর জন্য লাগবে ২ কাপ এপসম লবণ, ১ কাপ সামুদ্রিক লবণ, আধ কাপ বেকিং সোডা, ১-২ টেবিল-চামচ শুকনো ল্যাভেন্ডার কুঁড়ি, ১টি পেপারমিন্ট টি-ব্যাগ, ৫ ফোঁটা করে ইউক্যালিপটাস অয়েল, ল্যাভেন্ডার, পেপারমিন্ট ও টি-ট্রি এসেন্সিয়াল অয়েল এবং ২ টেবিল-চামচ অলিভ অয়েল বা অন্য কোনও তেল। সব উপকরণ মিশিয়ে একটা জারে ভরে রাখুন। গোসলের সময় কুসুম গরম পানিয়ে মিশিয়ে ব্যবহার করুন।