সূচিশিল্পের গয়না নতুনত্ব আনছে ফ্যাশনে

আনিকা নূর কাজ করছেন বেসরকারি ব্যাংকে। হাতে সেলাই করা গয়না ভালোবেসে তিনি পরে এসেছিলেন বেশ জমকালো একটি অনুষ্ঠানে। ব্যতিক্রমী গয়নাটি নজর কাড়ছিলো কমবেশি সবারই। তিনি জানালেন, ঝলমলে গয়নার বদলে এই ধরনের ছিমছাম ও সুন্দর গয়নাই বেশ লাগে তার। ঈদ মেলা থেকে গলার মালা ও কানের দুলের সেটটি কিনেছেন বলে জানান তিনি।   

 

ছবি: জুয়েলারি কর্নার

 

ছোট্ট ক্যানভাসে সুঁইয়ের ফোঁড়ে নকশা ফুটিয়ে তোলা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি সময়সাপেক্ষ- জানালেন অনলাইন শপ জুয়েলারি কর্নারের স্বত্বাধিকারী মাকসুদা হ্যাপি রিতা। নতুন ধাঁচের গয়না তৈরি করার ইচ্ছে থেকেই সেলাই করে গয়না বানানো শুরু করেন তিনি। মায়ের কাছ থেকেই সেলাই শিখেছেন বলে জানালেন এই উদ্যোক্তা। মুক্তা, পাথর, মেটালের গয়নার পাশাপাশি জন্মদিন, পহেলা বৈশাখ, ফাল্গুন, ঈদ, পূজা সব ধরনের উৎসবেই এমব্রয়ডারি গয়না পরছেন ফ্যাশনপ্রিয়রা।

 

ছবি: লা ভিডা

একটি সাদা টপের সঙ্গে ঝোলানো সুতার নকশা করা লকেট যেমন মানিয়ে যায়; তেমনি জামদানি, মনিপুরী, মসলিন শাড়ির সঙ্গেও ভিন্ন নকশার এসব গয়না চমৎকার লাগে দেখতে। রিতা জানালেন অনেকেই দেশের বাইরে যাওয়ার সময় গয়নাগুলো নিয়ে যান আত্মীয় ও বন্ধুদের জন্য। তবে এই ধরনের গয়না তৈরি করা বেশ সময়ের কাজ। একটি নির্দিষ্ট ডিজাইন সেট করে তারপর সুঁইয়ের ফোঁড়ে সেটাকে ফুটিয়ে তুলতে হয়। সেলাইয়ের এসব গয়নার ক্ষেত্রে মূল ম্যাটেরিয়াল কাপড়কে বিভিন্ন নকশায় সেলাই করে আগে গয়না বানানোর জন্য প্রস্তুত করা হয়, তারপর বানানো হয় গয়না।

 

ছবি: জুয়েলারি কর্নার

হাতের বালা, গলার চোকার, লম্বা লকেট ও দুলে সেলাই করা হয় বাহারি সব নকশা। আবার কাঁথা স্টিচ কিংবা প্যাচওয়ার্কেও নতুনত্ব পায় গয়না। সুঁইয়ের আঁচড়ে প্রাণ পাওয়া নকশার সঙ্গে কখনও শোভা পায় ঝুনঝুনি, কখনও রুদ্রাক্ষ বা রঙবেরঙের পুঁতি। অনেক ক্ষেত্রে নকশার অংশ কাঠের ফ্রেমে বাঁধাই করে তৈরি হয় মালা ও দুল। 

জুয়েলারি কর্নার ছাড়াও এমব্রয়ডারি গয়না পেয়ে যাবেন স্বপ্না’স ক্র্যাফট, রঙধনু ক্রিয়েশনস, লা ভিডাসহ আরও অনেক অনলাইন পেইজে।