টাকা উপার্জনের চিন্তায় মানসিক শান্তি নষ্ট হচ্ছে, করণীয় কী?

প্রশ্ন: পরিবারের সঙ্গে আমার দূরত্ব দিন দিন বাড়ছে। পরিবারের সদস্যদের ছোটখাট ভুলও আমি আজকাল নিতে পারছি না। বিভিন্ন ব্যাপারে সবসময় রাগ দেখাচ্ছি তাদের সঙ্গে। কী করবো?

উত্তর: পরিবাবারের সদস্যদের প্রতি অসহিষ্ণুতার প্রধান কারণগুলো হচ্ছে অল্পবয়সীদের ক্ষেত্রে মানসিক চাপ, অপরাধবোধ, দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য, ব্যক্তিগত ব্যর্থতার জন্য অন্যকে দায়ী মনে করা এবং মাদকাসক্তি। মধ্যবয়সীদের ক্ষেত্রে, মাদকাসক্তি, হতাশা, অর্থনৈতিক চাপ এবং পরকীয়া। আপনার প্রশ্নের ধরনে মনে হচ্ছে আপনার বয়স কম এবং আপনি অন্যকে কষ্ট দেওয়ার কারণে নিজেকে ক্ষমা করতে পারেন না। নিজেকে ক্ষমা করতে না পারার কারণে অন্যকে ক্ষমা করতে পারেন না এবং আবারও কষ্ট দেন। এরপর অপরাধবোধে ভোগেন। এই পৌনঃপুনিকতা থেকে বের হতে চাইলে কৃতকর্মের জন্য নিজেকে দায়ী না করে, নিঃশর্তভাবে নিজেকে মেনে নিতে হবে।

প্রশ্ন: আমার বয়স ৩৫ বছর। থাকি দেশের বাইরে, একটি উন্নত দেশে। ভালো চাকরি করছি। সংসারে অভাব আছে সেটাও না। কিন্তু আমার সবসময় মনে হয় আমাকে অনেক টাকা উপার্জন করতে হবে। আমাকে অনেক দূর এগিয়ে যেতে হবে, ক্যারিয়ারে টপ করতে হবে। আমার মানসিক শান্তি নষ্ট হচ্ছে এই চিন্তায়। জীবনটা ঠিক মতো উপভোগ করতে পারছি না।

উত্তর: আমরা প্রাচুর্যকে অধরা মনে করি বলে সারা জীবন তা অধরাই থেকে যায়। নিজেকে এই মুহূর্তে সমৃদ্ধ মনে না করলে কখনোই তা হওয়া যাবে না। ভবিষ্যৎ সুখের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বর্তমানে কেউই সুখী হতে পারে না। বর্তমানকে গুরুত্ব দিতে হবে। মাইন্ডফুল মেডিটেশন এবং জীবনের জন্য কৃতজ্ঞতা চর্চার মাধ্যমে আপনি প্রশান্তি লাভ করতে পারেন। মনে রাখবেন, জীবনের মানে হলো এই মুহূর্তে বেঁচে থাকা।