প্রশ্ন: আমি জীবনটা ঠিকমতো উপভোগ করতে পারছি না। সবসময় অনেক কিছু করে ফেলতে হবে এমন একটা টেনশন কাজ করে। মনে হয় আমি পিছিয়ে যাচ্ছি, সবাই এগিয়ে যাচ্ছে। এমনকি নিজের প্রতি নিজেও সন্তুষ্ট হতে পারি না আমি, যদিও কর্মক্ষেত্রে ভালো করি। কিন্তু মনে হয় হয়তো আরও ভালো করতে পারতাম। এই সমস্যা কীভাবে দূর করবো?
উত্তর: আপনি আপনার জীবনকে উপভোগ করতে পারছেন না জীবন সম্পর্কে আপনার দুটি ভুল ধারণার কারণে। আপনার প্রথম ভুল ধারণাটি হচ্ছে, জীবন উপভোগ্য। জীবন মোটেও উপভোগের কোনও বিষয় নয়। জীবন হচ্ছে বাস্তবতার উপলদ্ধি। এই বাস্তবতা সুখ-দুঃখ, ভালো-মন্দ অনুভূতির ঊর্ধ্বে। এ বাস্তবতা হচ্ছে জীবনের আনন্দ ও কষ্ট দুটো থেকেই নিজেকে মুক্ত করার বাস্তবতা, শুধুমাত্র কষ্ট থেকে নয়। আপনার দ্বিতীয় ভুল ধারণাটি হচ্ছে, জীবনের অপরিপূর্ণতা বোধ। জীবন সহজাতভাবেই পরিপূর্ণ। জীবনকে নতুনভাবে পরিপূর্ণতা প্রদানের কিছু নেই। জীবনের মানে হচ্ছে বেঁচে থাকা, শুধুই বেঁচে থাকা। এর থেকে ভিন্ন, ব্যাপক বা মহৎ কোনও অর্থ জীবনের নেই। আমরা নিজেদেরকে অপরিপূর্ণ মনে করি। সুতরাং আমরা আমাদের জীবনকে অলীক পরিপূর্ণতা প্রদান করতে গিয়ে আসলে মরীচিকার পেছনে দৌড়াচ্ছি। মানসিক স্বাস্থ্যের হলিস্টিক এপ্রোচ অনুশীলনের মাধ্যমে আপনি আপনার এই ভুল ধারণাগুলো থেকে বের হয়ে আসতে পারবেন।
প্রশ্ন: আমাদের প্রেমের বিয়ে। কিন্তু বিয়ের পর মাসখানেক যেতে না যেতেই স্বামীর আচরণগত পরিবর্তন লক্ষ করি। আমার স্বামী পর্নো আসক্ত। রাত জেগে সে পর্নো দেখে, অন্য মেয়েদের সাথে চ্যাট করে। কিছু বললেই চিৎকার চেঁচামেচি করে। তাকে কীভাবে স্বাভাবিক জীবনে আনবো?
উত্তর: আপনার কাছে আপনার স্বামীর যে স্বভাব অস্বাভাবিক, তার নিজের জন্য সেটাই স্বাভাবিক। এটা মনে রেখে আগাতে হবে। নানা কারণে পর্নো আসক্তি জন্মাতে পারে। ব্যক্তিত্বের ধরন, সঠিক যৌন শিক্ষার অভাব, পরিবেশের প্রভাব ছাড়াও সুস্থ বিনোদনের অভাব, পরিবারে নৈতিকতার চর্চা কম থাকার কারণে কারোর কারোর পর্নো আসক্তি জন্মায়। এই আসক্তি দূর করার জন্য তাকে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিতে উৎসাহ দিন। সাইকোথেরাপি, কাউন্সেলিং, মোটিভেশনাল ইন্টারভিউইং, মাইন্ডফুলনেসসহ ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে। মেডিটেশন, রিলাক্সেশন ইত্যাদির চর্চাও কমাতে পারে পর্নো আসক্তি।