শিশুর জন্য বিভিন্ন ধরনের খেলা কিনি আমরা। কখনও গাড়ি, কখনও পুতুল আবার কখনও রান্নাবান্নার সরঞ্জাম। তবে খেলনা কেনার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখতে হবে বাবা-মাকে। কারণ খেলনা শুধু খেলার জিনিস নয়, এগুলো শিশুর বিকাশে যথেষ্ট সাহায্য করে। পুতুল থেকে শুরু করে ছোট্ট রান্নাঘরের সেটগুলো শিশুদের যুক্তি, সৃজনশীলতা এবং অনুভূতিকে প্রভাবিত করে। ফলে কিছু বিষয় বিবেচনায় না রেখে খেলনা কিনলে শিশুর উপর পড়তে পারে বিরূপ প্রভাব। শিশুদের খেলনা প্রস্তুতকারী ভারতীয় প্রতিষ্ঠান টয়ক্রার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ভিরাং শাহ পরামর্শ দিয়েছেন শিশুর জন্য খেলনা নির্বাচন বিষয়ে।
- অনেক অভিভাবক খেলনাকে নৈমিত্তিক কেনাকাটা হিসেবে দেখেন, কিন্তু এগুলোকে শিশুর বিকাশে বিনিয়োগ হিসেবে দেখা উচিত। কারণ মানসম্পন্ন খেলনা শিশুর সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, সৃজনশীলতা এবং সামাজিকতার মতো দক্ষতা বাড়াতে পারে।
- অসংখ্য খেলনা কেনার পরিবর্তে শিশুর আগ্রহ এবং বয়সের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ খেলনা কিনে দিন। অতিরিক্ত খেলনা শিশুকে আরও অস্থির ও দ্বিধান্বিত করে তুলবে।
- শিক্ষামূলক খেলনা কিনে দিতে পারেন শিশুকে। শেখার প্রতি ভালোবাসা বাড়ায় এই ধরনের খেলনা।
- শিশুর বয়স এবং বিকাশের উপযোগী খেলনা বাছাই করা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ। ট্রেন্ডি খেলনা কিনে দিতে হবে এমন নয়। বয়স-উপযুক্ত খেলনা শিশুকে আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য ব্যস্ত রাখে শিশুকে।
- শিশু যদি একদম ছোট হয় তবে ছোট পার্ট আছে এমন খেলনা দেবেন না। এ ধরনের খেলনা শিশু মুখে দিয়ে দিতে পারে।
- খেলনা যেন ক্ষতিকারক ম্যাটেরিয়াল দিয়ে তৈরি না হয়।
- শিশুর কান সংবেদনশীল, ফলে উচ্চ ডেসিবেল শব্দ তাদের শ্রবণশক্তির জন্য ক্ষতিকর। তাই উচ্চ শব্দের খেলনা শিশুর জন্য কিনবেন না।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া