বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নানা ধরনের আর্টওয়ার্ক দেখেছে মানুষ। ভয়কে জয় করলে, মত প্রকাশে অসংকোচ হয়ে উঠলে কার্টুন কেমন জ্বলে উঠতে পারে, সেটাই যেন আরও একবার দেখেছে দেশবাসী। প্রথিতযশারা তো এঁকেছেনই, প্রাণখুলে তাতে যোগ দিয়েছেন নবীনরাও। কেউ প্রকাশ করেছেন ব্যক্তিগত সোশ্যাল মিডিয়ায়, কেউ এঁকেছেন সংবাদমাধ্যমের পাতায়। কেউ নামে এঁকেছেন, কেউ বেনামে এঁকেছেন। অসংখ্য মানুষের শেয়ারে কার্টুনগুলো ছড়িয়ে গেছে অন্তর্জালে। এসব কার্টুন নিয়েই শুরু হয়েছে প্রদর্শনী ‘কার্টুনে বিদ্রোহ।’
রাজধানী পান্থপথের দৃক গ্যালারিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিয়ে কার্টুন প্রদর্শনী চলছে। আজ (১৬ আগস্ট) শুরু হয় প্রদর্শনীটি। বাংলাদেশ কার্টুনিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, ব্যঙ্গাত্মক অনলাইন সাময়িকী ইআরকি এবং দৃক কার্টুন প্রদর্শনীটির আয়োজন করেছে।
আজ বিকেলে কার্টুনে বিদ্রোহ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা। আয়োজনে স্বাগত বক্তব্যে আলোকচিত্রী শহীদুল আলম বলেন, ‘কার্টুনিস্টরা কার্টুন আঁকছে, প্রতিবাদ করছে। শুধু এটা করলেই হবে না। যাদের উদ্দেশ্য করে করা, তাঁদের যেন চোখে পড়ে একটা জবাবদিহি তৈরি হয় সেই জায়গাটা যেন থাকে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন কার্টুনিস্ট আহসান হাবিব ও মেহেদী হক। ইআরকি সম্পাদক সিমু নাসের বলেন, ‘আমরা মাঝে মাঝে বলি, আর্ট কালচার কী কাজে লাগে আমাদের? গান, কবিতা কী কাজে লাগে আমাদের। এই আন্দোলনে গিয়ে সবচেয়ে যেটা বেশি দেখলাম, সেটা হলো আর্ট কালচার। কার্টুন, গান, র্যাপ গান, গ্রাফিতি, স্লোগান। আমরা আসলে একটা ভয়হীন জায়গা পেলে কত কী যে করতে পারি, এই কার্টুনগুলো সেই প্রমাণ।’
পত্রিকা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে আঁকা কার্টুন সংগ্রহ করে ৩০০টিরও বেশি কার্টুন নিয়ে চলছে এই প্রদর্শনী। প্রদর্শনীতে ডিজিটাল মাধ্যমে আঁকা রাজনৈতিক কার্টুন, শহরের দেয়ালে দেয়ালে তারুণ্যের ঝংকার তুলে ছড়িয়ে পড়া গ্রাফিতি, সংবাদপত্রের জন্য আঁকা বিখ্যাত শিল্পীদের কার্টুন জায়গা পেয়েছে।
আগামী ২৩ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দেখা যাবে প্রদর্শনীটি।