সুস্থতার জন্য নিয়মিত ব্যায়ামের কোনও বিকল্প নেই। নানা ধরনের দীর্ঘমেয়াদী রোগ থেকে আমাদের দূরে রাখতে পারে পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম। ব্যায়াম হিসেবে অনেকে জগিং করেন, অনেকে বাসাতেই করেন শরীরচর্চা। কেউ আবার জিমনেশিয়ামে গিয়ে শরীরচর্চা করতে পছন্দ করেন। তবে অনেকেরই জিম সম্পর্কে রয়েছে বেশ কিছু নেতিবাচক ও ভ্রান্ত ধারণা। ইএলবিএইচ জিমের ট্রেইনার প্রীতি আক্তার জানালেন এমনই কিছু ধারণার ব্যাপারে, যেগুলোর আদতে তেমন ভিত্তি নেই।
১। কেবল জিম জয়েন করলেই কমতে শুরু করবে ওজন
জিমনেশিয়াম সম্পর্কে এমন ধারণা অনেকেরই রয়েছে। জিমে আসা মানেই কিন্তু ওজন কমা শুরু হবে এমন নয়। মেদ ঝরাতে চাইলে শরীরচর্চা আবশ্যক, কিন্তু পাশাপাশি মানতে হবে সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং ঘুমের রুটিন। আপনি শরীরচর্চার মাধ্যমে বাড়তি ক্যালরি ঝরিয়ে তখনই ওজন কমাতে পারবেন, যখন ক্যালরি গ্রহণেও টেনে ধরবেন রাশ। কেবল জিমে এসেই বাড়তি মেদ থেকে মুক্তি মিলবে না।
২। জিম শুরু করার পর ছেড়ে দিলে ওজন দ্রুত বাড়ে
এটিও একটি ভুল ধারণা। নানা কারণে আপনি জিম থেকে বিরতি নিতেই পারেন। কিন্তু তাই বলে ডায়েটের সব পরিকল্পনা ভেস্তে দিলে কিন্তু চলবে না। যদি আপনি শরীরচর্চাও ছেড়ে দেন এবং ক্যালরি গ্রহণও বাড়িয়ে দেন, তবে স্বাভাবিকভাবেই ওজন দ্রুত বাড়বে। সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে চাইলে স্বাস্থ্যকর জীবনধারা মেনে চলতেই হবে। জিমে না এসেও আপনি ফিট থাকতে পারেন, যদি সুষম খাবার খান এবং পর্যাপ্ত হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম করেন।
৩। জিম শুরু করলে রাতারাতি ওজন কমে যায়
জিমে নানা ধরনের যন্ত্র থাকে। আপনি কোনটি ব্যবহার করছেন এবং কত সময়ের জন্য ব্যবহার করছেন- সেটার উপর অনেকাংশে নির্ভর করে কত দ্রুত কমবে আপনার ওজন। এর পাশাপাশি জীবনধারার অন্যান্য বিষয়ের প্রতিও থাকতে হবে সচেতন।
৪। সপ্তাহে সাত দিনই জিমে আসতে হবে
সপ্তাহে প্রতিদিন জিমে আসতে হবে- এমন চাপ নেওয়ার কিছু নেই। আপনি ৭ দিনের মধ্যে পাঁচ দিন আসতে পারেন। সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিটের মাঝারি তীব্রতার ব্যায়ামেই আপনি সুস্থ থাকবেন। সপ্তাহে ৪ থেকে ৫ দিনে এই ১৫০ মিনিট ভাগ করে নিন।