তরমুজের খোসার উপরে থাকা এর সাদা অংশও কিন্তু ফলটির মতোই পুষ্টিগুণে ভরপুর। ভিটামিন সি, এ, বি ৬, পটাসিয়াম ও জিঙ্ক মেলে তরমুজের সাদা অংশে। থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবারও। আমেরিকান জার্নাল অব হাইপারটেনশন বলছে, তরমুজের সাদা ও অন্যান্য অংশ প্রাপ্তবয়স্কদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে দারুণভাবে সাহায্য করে। এছাড়া তরমুজের খোসায় রয়েছে সিট্রুলিন নামের এসেনশিয়াল অ্যামিনো অ্যাসিড, যা এনার্জির ঘাটতি মেটাতে পারে। সিট্রুলিন রক্তনালী প্রসারণ করতেও সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে তরমুজের ভেতরের সাদা অংশ। এখন প্রশ্ন হলো এই অংশটি কীভাবে খাওয়া যায়? জেনে নিন তারই কিছু আয়ডিয়া।
- জুস বানানোর সময় তরমুজের সাথে এই অংশও টুকরো করে মিশিয়ে দিন।
- লাউয়ের মতো ছোট ছোট টুকরো করে ডাল বা রান্না করে খেতে পারেন। এর স্বাদ অনেকটা চালকুমড়োর মতো।
- অনেকেই স্বাস্থ্যকর স্মুদি বানিয়ে খান। সেই স্মুদিতে বাড়তি পুষ্টি যোগ করতে চাইলে মিশিয়ে নিন তরমুজের সাদা অংশ।
- টুকরো করে অন্যান্য সবজির সঙ্গে মিশিয়ে অলিভ অয়েলে সামান্য নেড়েচেড়ে খেতে পারেন।
- ডিটক্স ওয়াটার বানিয়ে খেতে পারেন। এজন্য বোতল ভর্তি পানিতে তরমুজের খোসার সাদা অংশ টুকরা করে দিয়ে দিন। সঙ্গে পুদিনা পাতা, লেবু বা শসাও দিতে পারেন। সারারাত এভাবে রেখে পরদিন পান করুন এই পানি।
- দারুণ স্বাদের আচার বানানো যায় তরমুজের সাদা অংশ দিয়ে।
- বরফকুচি ও পুদিনা পাতা দিয়ে তরমুজের খোসা ব্লেন্ড করে জুস বানিয়ে খেতে পারেন।
- তরমুজের সাদা অংশ ছোট টুকরা করে কেটে লবণ ও লেবু মিশিয়ে খেতে পারেন কাঁচাই।