আমাদের পেশীর বৃদ্ধি, মেরামত, হরমোন এবং এনজাইম উৎপাদনে সাহায্য করে প্রোটিন। এছাড়া প্রোটিন টিস্যুর নিরাময়ে সাহায্য করে এবং সুস্থ ত্বক, চুল এবং রক্ত বজায় রাখে, পর্যাপ্ত প্রোটিন পেতে মাছ-মাংসের পাশাপাশি নানা ধরনের বীজ রাখতে পারেন খাদ্য তালিকায়। জেনে নিন কোন কোন বীজ প্রোটিনের উৎস।
- মিষ্টি কুমড়ার বীজে মেলে পর্যাপ্ত প্রোটিন। ২৮ গ্রাম কুমড়োর বীজে ৭ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এছাড়া ফাইবারের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড (যেমন ট্রিপটোফ্যান) রয়েছে এতে, যা আমাদের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।
- চিয়া সিড থেকেও পাওয়া যায় প্রোটিন। ২ টেবিল চামচ চিয়া বীজে ৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে যা পেশী পুনরুদ্ধার এবং টিস্যু মেরামতে সহায়তা করে। প্রোটিন, ফাইবার এবং স্বাস্থ্যকর চর্বির মিশ্রণ দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।
- এগুলোতেদুই টেবিল চামচ তিসির বীজে প্রায় ৫-৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে। প্রচুর পরিমাণে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে এতে। এই বীজ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
- সূর্যমুখীর বীজও প্রোটিনের ভালো উৎস। ২৮ গ্রাম সূর্যমুখী বীজে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে। প্রোটিনের পাশাপাশি ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম এবং সেলেনিয়ামও মেলে উপকারী সূর্যমুখীর বীজে।
তিন টেবিল চামচ তিলের বীজে প্রায় ৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এতে মেথিওনিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, যা পেশী মেরামত, এনজাইম উৎপাদন এবং সামগ্রিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তিলের বীজে থাকা প্রোটিন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো খনিজ পদার্থের সাথে কাজ করে, যা হাড়কে শক্তিশালী করে।