কলমি শাক খেলে এত উপকার পাওয়া যায় জানতেন?

পুষ্টিগুণে ভরপুর কলমি শাক খুব সহজে বাড়িতে চাষ করা যায়, বাজারে তো অহরহ মেলেই। উপকারী এই শাকে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন সি মেলে। এগুলো শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এছাড়া ভিটামিন এ, আয়রন এবং ফাইবারেরও চমৎকার উৎস কলমি শাক। নিয়মিত পাতে এই শাক রাখলে কোন কোন উপকার পাবেন জেনে নিন। 

  • ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কলমি শাক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। 
  • কলমি শাকে পাওয়া ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ কমায়। এছাড়াও এতে উপস্থিত ফোলেট হোমোসিস্টাইনের মতো রাসায়নিকের বিপদ দূর করতে সাহায্য করে।
  • ভালো দৃষ্টি বজায় রাখার জন্য ভিটামিন এ অপরিহার্য। ভালো পরিমাণ ভিটামিন এ সরবরাহ করে কলমি শাক।
  • উচ্চ ফাইবারের পরিমাণ হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। 
  • কলমি শাক আয়রনের একটি ভালো উৎস। আয়রন লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 
  • কলমি শাকে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সূর্যের ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সাহায্য করে। 
  • যারা ওজন কমাতে এবং প্রাকৃতিকভাবে কোলেস্টেরল কমাতে চান তাদের জন্য কলমি শাক দারুণ বিকল্প। প্রাণীর উপর পরিচালিত গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে এই শাক খাওয়ার ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমেছে এবং ট্রাইগ্লাইকোসাইডও কমেছে। 
  • জন্ডিস এবং লিভারের সমস্যার চিকিৎসার জন্য আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় কলমি শাক বহুল ব্যবহৃত হয়। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, এই গাছের নির্যাস রাসায়নিক-প্ররোচিত লিভারের ক্ষতির বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করতে পারে। 
  • নিয়মিত কলমি শাক খেলে ডায়াবেটিসজনিত অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে ওঠে। 
  • ১৩ ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগে ভরপুর কলমি শাক শাক ক্যানসার প্রতিরোধে কাজ করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো শরীর থেকে মুক্ত র‍্যাডিকেল দূর করতে সাহায্য করে। 

তথ্যসূত্র: স্টাইল ক্রেজ ও নিউজ এইটিন