কালচে ঠোঁটের যত্নে ৮ টিপস

কালচে ঠোঁট নিয়ে অনেকেই বিব্রত বোধ করেন। আমাদের ঠোঁটে উপস্থিত হাইপারপিগমেন্টেশনের ফলাফল হতে পারে কালচে ঠোঁট। এতে ঠোঁটের ত্বকের কোষগুলোর স্তরে মেলানিনের মাত্রা বেড়ে যায়। সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি, ধূমপান, লিপস্টিক, এমনকি ক্যাফেইন সেবনের কারণেও হতে পারে এমনটা।  ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করার পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া যত্নে দূর করতে পারেন এই ধরনের কালচে দাগ। জেনে নিন টিপস।

1. প্রাকৃতিক ব্লিচের গুণ রয়েছে লেবুর মধ্যে। ঠোঁটের কালচে ছোপ দূর করতে তাই সাহায্য নিতে পারেন লেবুর। লেবু পাতলা চাকা করে কেটে উপরে অল্প চিনি ছিটিয়ে ঠোঁটে ঘষুন। ঠোঁটে জমে থাকা মৃত চামড়া দূর হবে। পাশাপাশি লেবুর অ্যাসিড ঠোঁটের কালোভাবও কাটাবে।
2. এক্সফোলিয়েশন ঠোঁটের মৃত কোষ অপসারণ করতে সাহায্য করে। এতে ঠোঁট সতেজ এবং পুনরুজ্জীবিত দেখায়। প্রাকৃতিক স্ক্রাব যেমন মধুর সঙ্গে চিনি বা দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন ঠোঁটে। চিনির সঙ্গে লেবু মিশিয়েও ঠোঁটে ঘষে নিতে পারেন। আলতো হাতে ম্যাসাজ করবেন। এক বা দুই মিনিট স্ক্রাব করার পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করলে প্রাকৃতিকভাবে গোলাপি ঠোঁট পাবেন।
3. এক স্লাইস বিট মধুতে ডুবিয়ে রাখুন ৩ মিনিট। ঠোঁটে ঘষুন বিটের টুকরা। ১০ মিনিট অপেক্ষা করে উঠিয়ে ফেলুন। সাথে সাথে ধুয়ে ফেলার দরকার নেই। সারারাত রেখে দিন এভাবেই। পরদিন সকালে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
4. আধা চা চামচ চিনি ও কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল ঠোঁটে ম্যাসাজ করুন। সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করলে দ্রুত ফল পাবেন।
5. গোলাপি ঠোঁট পেতে চাইলে বেছে নিতে পারেন গোলাপকেই। এক বোতল গোলাপজলে অল্প মধু মেশান। মিশ্রণটি দিয়ে প্রতিদিন কোমলভাবে ঠোঁট স্ক্রাব করুন। এছাড়া অল্প দুধে গোলাপের পাপড়ি ভিজিয়ে বেটে নিন ঠোঁটে লাগালেও উপকার পাবেন।
6. হলুদ একটি দুর্দান্ত মেলানিন ইনহিবিটার। ১ টেবিল চামচ দুধ এবং হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। আলতো করে ঠোঁটে লাগিয়ে ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ঠোঁট মুছে একটি ময়শ্চারাইজিং লিপ বাম ব্যবহার করুন।  একটানা ২ সপ্তাহ এই প্যাক ব্যবহার করুন। 
7. টমেটোর রস বা টমেটোর টুকরো ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিদিন অন্তত দু’বার করে টমেটোর রস ঠোঁটে মাখুন। এতে আপনার ঠোঁট উজ্জ্বল হবে।
8. দুধ ও টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগান। ঠোঁটকে উজ্জ্বল করতে ল্যাক্টিক অ্যাসিড খুবই উপকারী। দুধ বা টক দইয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ল্যাক্টিক অ্যাসিড।