যেসব উপায়ে তেল ব্যবহার করলে খুশকি কমবে

বর্ষার স্যাঁতসেঁতে সময়ে কিংবা শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় অনেকের খুশকির প্রকোপ বাড়ে। আবার অনেকের সারা বছরই বিব্রতকর খুশকির সমস্যা থাকে। অ্যান্ট-ড্রান্ড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করলে কিছুদিন ঠিক থাকলেও আবার ফিরে আসে খুশকি। নিয়মিত তেল ব্যবহার করে খুশকি থেকে রেহাই পেতে পারেন। তবে তেল ব্যবহারের রয়েছে কিছু নিয়ম। 

১। একটি পাত্রে নারকেল তেল নিয়ে তার মধ্যে কারি পাতা দিয়ে ফোটাতে থাকুন। পাতাগুলোর নির্যাস ভালোভাবে তেলের সঙ্গে মিশে যাওয়ার পর মিশ্রণটি ছেঁকে চুলের গোড়ায় ঘষে ঘষে লাগান। আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা রাখুন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইবার এভাবে তেল ব্যবহার করুন। 

২। দুই চামচ ক্যাস্টর অয়েলের সঙ্গে দুই চামচ নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ম্যাসাজ করুন। একটি তোয়ালে গরম পানিতে ডুবিয়ে মাথায় জড়িয়ে রাখুন ১০ মিনিট। এরপর আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করে গোসল করে ফেলুন। অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।

৩। নারকেল তেলের সঙ্গে  লেবুর রস মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগান ও ম্যাসাজ করুন। এটি খুশকি দূর করবে এবং মাথার ত্বক ভালোভাবে ময়েশ্চারাইজ করবে। এক ঘণ্টা পর ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল।

৪। কয়েকটি কারি পাতা বেটে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। সেই মিশ্রণে টক দই মিশিয়ে মিশ্রণটি মাথার ত্বকে লাগান। হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। ২০ থেকে ২৫ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে এক দিন কারি পাতার মাস্ক লাগালে চুলের ঘনত্ব বাড়বে।

৫। খুশকি দূর করতে সপ্তাহে একদিন চুলে গরম নারকেল তেল ম্যাসাজ করুন। পরিমাণ মতো নারতেল তেল বাটিয়ে নিয়ে সামান্য গরম করে ঘষে ঘষে লাগান চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত। একটি তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে নিংড়ে নিন। তোয়ালে দিয়ে চুল জড়িয়ে রাখুন ২০ মিনিট। তোয়ালে খুলে আরও ১০ মিনিট অপেক্ষা করে ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন চুল।

৬। নারকেল তেলের সঙ্গে নিম পাতা ফুটিয়ে চুলের গোড়ায় লাগান। নিয়মিত ব্যবহার করুন এটি।