ড্রাগন ফল খেলে এত উপকার পাওয়া যায় জানতেন?

ফলের দোকানে চোখে পড়ছে লাল টুকটুকে ড্রাগন ফল। ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের দারুণ উৎস এই ফল। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে এতে, যা বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমায়। জেনে নিন ড্রাগন ফল নিয়মিত খেলে কোন কোন উপকার পাবেন।

  • ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সহায়তা করে। এতে প্রিবায়োটিকও রয়েছে, যা উপকারী অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকে ভালো রাখে এবং পাচনতন্ত্রের সুস্থ ভারসাম্য বজায় রাখে।
  • ড্রাগন ফলে বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ রয়েছে। ড্রাগন ফলে আরও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন সি এবং এ, পাশাপাশি পটাসিয়াম। এই যৌগগুলো প্রদাহজনক এবং অক্সিডেটিভ প্রক্রিয়াগুলোর সাথে যুক্ত রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।  ডায়াবেটিস, কার্ডিওভাসকুলার রোগ, ক্যানসার, ডিসলিপিডেমিয়া বা উচ্চ কোলেস্টেরলের ঝুঁকি কমে নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে। 
  • ফলটি ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শরীরকে সংক্রমণ এবং অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে ড্রাগন ফল।
  • ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার অনুযায়ী, ৩.৫-আউন্স ড্রাগন ফলে ৩ গ্রামের বেশি ফাইবার থাকে। ফলে ড্রাগন ফল খেলে ফাইবারের চাহিদা পূরণ করা যায়। 
  • বিটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ ফলটি নিয়মিত খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে ও ছানি পড়ার ঝুঁকি কমে।
  • কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে ড্রাগন ফলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে কমে হৃদরোগের ঝুঁকি। 
  • ড্রাগন ফলের গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে এবং এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে।
  • ড্রাগন ফলের ছোট কালো বীজে রয়েছে ওমেগা থ্রি ও ওমেগা নাইন ফ্যাটি অ্যাসিড। এগুলো হার্টের জন্য উপকারী। 
  • ড্রাগন ফলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং উচ্চ জলীয় উপাদান ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে এবং বলিরেখার মতো বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলো হ্রাস করতে পারে।
  • ড্রাগন ফলে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ থাকে, যা শক্তিশালী হাড় এবং দাঁত বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
  • আয়রনের চমৎকার উৎস রঙিন ড্রাগন ফল। রক্তশূন্যতার সমস্যা দূর করতে চাইলে তাই প্রতিদিন খাওয়া চাই উপকারী এই ফল।  

তথ্য: ওয়েবএমডি, ফোর্বস ম্যাগাজিন ও হেলথলাইন