ডিম সেদ্ধ করার পানি বেশিরভাগ সময় ফেলেই দেওয়া হয়। তবে এতে কিন্তু বেশ কিছু পুষ্টিগুণ মিশে থাকে। সেদ্ধ করার সময় ডিমের খোসা থেকে এমন কিছু খনিজ বের হয়, যা পানিতে মিশে যায়। তার মধ্যে একটি হলো ক্যালসিয়াম। ডিমের খোসায় ক্যালসিয়াম কার্বোনেট থাকে। সেদ্ধ হওয়ার সময়ে সেই ক্যালসিয়ামই পানিতে মিশে যায়। পাশাপাশি ডিমে থাকা ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ ও আয়রনের মতো খনিজও মেশে পানিতে। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই পানি কাজে লাগানোর কিছু উপায় জেনে নিন।
১। ডিম সেদ্ধ করা পানি দিয়ে গোসলের সময় চুল ধুলে নিন। চুল নরম ও মসৃণ হবে। ডিমের ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম চুলের গোড়া মজবুত করে, চুল পড়া বন্ধ করে। খুশকির সমস্যারও সমাধান করতে পারে ডিম সেদ্ধ করা পানি। এই পানির খনিজ উপাদানগুলো মাথার ত্বকের সংক্রমণও রোধ করতে পারে।
২। ডিম ফুটানোর পানিতে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ থাকে, যার মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম। এগুলো উদ্ভিদের জন্য উপকারী। পানি ঠান্ডা হতে দিন প্রথমে। এরপর এই পানি দিন গাছের গোড়ায়। মাটির গুণমান উন্নত করবে সেদ্ধ ডিমের পানি। পানিতে থাকা ক্যালসিয়াম শিকড়ের বিকাশে সহায়তা করে, অন্যদিকে ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরোফিল উৎপাদন বাড়ায় যা গাছকে সবুজ এবং আরও প্রাণবন্ত করে।
৩। ঘরের মেঝে, রান্নাঘরের তাক বা সিঙ্ক পরিষ্কারের কাজে এই পানি ব্যবহার করতে পারেন। ডিম সেদ্ধ করা পানির ক্ষারীয় প্রকৃতি তেল চিটচিটে ভাব ও ময়লা দূর করে রান্নাঘরের। চুলার উপরের অংশ পরিষ্কার করতে কাজে লাগাতে পারেন এই পানি। পুরনো থালাবাসন নতুনের মতো চকচকে করে তুলতেও এই পানি কাজে আসতে পারে।
৪। সেদ্ধ ডিমের পানি সার তৈরির প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে পারে। এর খনিজ পদার্থ জৈব উপাদানকে দ্রুত ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে। ঠান্ডা ডিমের পানি কম্পোস্ট বিনে ঢেলে দিলে উপকারী জীবাণু বৃদ্ধি পায়। ফলে খাবারের টুকরো এবং জৈব বর্জ্য ভেঙে পুষ্টিকর সমৃদ্ধ সার তৈরি করে। এটি কিছুটা অতিরিক্ত আর্দ্রতাও যোগ করে, যা কম্পোস্ট তৈরির প্রক্রিয়ার জন্য অত্যাবশ্যক।