লটকন খেলে দারুণ এই উপকারগুলো মেলে

টক-মিষ্টি লটকন ফল পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। বর্ষার মুখরোচক ফলটি পুষ্টিগুণে ভরপুর। ১০০ গ্রাম লটকনে পাওয়া যায় ৯২ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি। একই পরিমাণ লটকনে ভিটামিন সি রয়েছে ১৭৮ মিলিগ্রাম, শর্করা ১৩৭ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১৭৭ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৬৯ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-১ ১৪.০৪ মিলিগ্রাম এবং ভিটামিন বি-২ শূন্য দশমিক ২০ মিলিগ্রাম। এছাড়া ফাইটোকেমিক্যালস যেমন ফেনোলিক্স, ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ক্যারোটিনয়েডস মেলে উপকারী এই ফলে। জেনে নিন লটকন খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। 

  • রক্ত, হাড়ের জন্য বিশেষ উপকারি উপাদান আয়রন রয়েছে লটকনে। এটি হিমোগ্লোবিন বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এতে থাকা পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো উপকারি খনিজ উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • ভিটামিন সি এর চমৎকার উৎস লটকন। এছাড়া এতে মেলে থায়ামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও। যাদের মুখে ঘনঘন ঘা হয়, তারা লটকন খান প্রতিদিন।
  • বর্ষার স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় ত্বকে নানা ধরনের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। নিয়মিত লটকন খেলে চর্মরোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব।
  • লটকনে থাকা অ্যামাইনো এসিড ও এনজাইম দেহ গঠন, কোষের ক্ষয়পূরণ, ও কোষকলার সুস্থতায় সাহায্য করে।
  • লটকনের ভিটামিন বি বেরিবেরি রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং চোখের রক্তনালীর সংকোচন প্রসারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • আমাদের শরীরে শক্তির উৎস বাড়ায় লটকন। এতে থাকা পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং প্রোটিন সারা দিন সক্রিয় থাকতে সাহায্য করে।
  • লটকন ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস। তাই লটকন খেলে হাড় ও দাঁত শক্তিশালী থাকে। 
  • রুচি বাড়াতে সহায়তা করে টক-মিষ্টি লটকন। পাশাপাশি কমায় বমি ভাব।
  • লটকনে জলীয় অংশ অর্থাৎ পানির পরিমাণ বেশি থাকে। এটি খেলে শরীর হাইড্রেটেড থাকে।
  •  ত্বকের রুক্ষতা কমায় টক ফলটি। প্রতিরোধ করে ত্বকের ফেটে যাওয়া।
  • খনিজ, ভিটামিন এবং মিনারেলে ভরপুর এ ফলটি রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে খুবই উপকারী।