ডায়াবেটিস ও রোজা: সাবধানে থাকতে হবে যাদের

যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের রোজায় এমনিতেই বাড়তি সতর্ক থাকতে হয়। তবে এদের মধ্যে এমন কিছু রোগী আছেন যাদের জন্য রোজা রাখা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেসিডেন্ট চিকিৎসক ডা. আবীর হাসান জানালেন তাদের সম্পর্কে।

ঝুঁকির মাত্রায় ডায়াবেটিসের রোগীর তিনটি ভাগ আছে-নিম্ন, মাঝারি ও উচ্চ ঝুঁকি। খাদ্য ব্যবস্থাপনা, ওষুধ বা ইনসুলিনের মাধ্যমে যাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে, তাঁরা নিম্ন ঝুঁকিতে আছেন। তারা রোজার শুরুতে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে কোনও জটিলতা ছাড়াই রোজা রাখতে পারেন।

অন্যদিকে যারা বয়স্ক, কিডনি জটিলতা বা অন্য কোনও রোগে আক্রান্ত, যাদের রক্তে গ্লুকোজ কমে যাওয়ার প্রবণতা (হাইপোগ্লাইসেমিয়া) আছে এবং হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের শিকার হয়েছেন এমন ডায়াবেটিস আক্রান্তদের উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন গ্রুপে ফেলা হয়েছে। এই গ্রুপের লোকদের রোজা রাখতে হলে নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে।

 

যারা ঝুঁকিপূর্ণ

১. বেশ বয়স্ক বা ভগ্ন স্বাস্থ্যের রোগী।

২. গত তিন মাসের মধ্যে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা অতিরিক্ত কমেছিল বা অনেক বেড়েছিল এমন। অর্থাৎ যাদের ডায়াবেটিক কিটোঅ্যাসিডোসিস বা হাইপোগ্লাইসেমিক ইতিহাস রয়েছে।

৩. ঘন ঘন রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা কমে যাওয়ার প্রবণতা।

৪. রক্তে গ্লুকোজ কমে আসার বিষয়টি সহসা যারা টের পান না।

৫. অনিয়ন্ত্রিত টাইপ-১ ডায়াবেটিস বা দীর্ঘদিনের অনিয়ন্ত্রিত টাইপ-২ ডায়াবেটিস।

৬. দীর্ঘমেয়াদি কিডনি জটিলতা (স্টেজ-৪/৫) বা ডায়ালাইসিসের রোগী।

৭. হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হয়েছে এমন রোগী।

৮. দিনে একাধিকবার ইনসুলিন নিতে হয় যাদের।

৯. মারাত্মক সংক্রমণ, যক্ষ্মা, ক্যানসার ইত্যাদি থাকলে।

তাছাড়া কায়িক পরিশ্রমকারী ডায়াবেটিসে আক্রান্তদেরও রোজা রাখার সময় সতর্ক থাকতে হবে।