মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার ১৩তম সিজন

ফুচকা-চটপটি নিয়ে মাস্টারশেফ মঞ্চে কিশোয়ার

এর আগে বাবার কাছ থেকে শেখা কালা ভুনার রেসিপি দিয়ে মাতোয়ারা করেছিলেন মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার বিচারকদের। তারপর বিশ্বজয় করে তার রান্না মাছের ঝোল। এবার বাংলাদেশের কিশোয়ার চৌধুরী বিচারকদের হাততালি কুড়োলেন চিরচেনা আলুর দমের ফুচকা, চটপটি আর সমুচা বানিয়ে। আর হ্যাঁ, সঙ্গে ঝাল ঝাল তেঁতুলের টকটাও ছিল বটে।

ফুচকা-চটপটির ভীষণ ভক্ত তিনি। দেশে এলেই সবাইকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন খেতে। তো বিশ্বমঞ্চে ওটা নয় কেন?

‘অতি সাধারণ আলুকে কী করে আমরা নানা ধরনের প্যাস্ট্রির সঙ্গে মানিয়ে নিতে শিখেছি, সেটাই পুনরায় আবিস্কার করে দেখালাম আমি।’ বললেন ৩৮ বছর বয়সী কিশোয়ার।

কিন্তু কিশোয়ারের এই ফুচকা ও আলুর দমের সমুসার রেসিপি কিন্তু ঠিক আমাদের রাস্তাঘাটের ফুচকার মতো নয়। এতেও ছিল তার নিজস্ব মুন্সিয়ানার ছাপ। শোনা যাক তার মুখেই-

‘প্রথমে আমি আলু সেদ্ধকে জাপানিজদের মতো করে শিটের মতো করে বানাই। এরপর এটাকে শুকিয়ে নিই। ওটাকে ফিলো প্যাস্ট্রি বানিয়ে সমুচার র‌্যাপটা তৈরি করি। তারপর আধাসেদ্ধ আলুকে স্কুপ করে ডিপ ফ্রাই করে বানিয়ে ফেলি ফুচকার খোলসটা। যা কিনা সচরাচর আমরা ময়দা বা সুজি দিয়ে বানানো হয়। এরপর এ দুটোতে মশলাদার আলু ও ডাবলি দিয়ে দেই। পরিবেশেন করি একটু ঝাল ঝাল তেঁতুলের সস দিয়ে।’

এখানেই শেষ নয়। সবার শেষে কিশোয়ারা আবার আলুর ছোট কুচিকে ডিপ ফ্রাই করে কুড়মুড়ে করে নেন। ওটা সাধারণত সুজি দিয়ে করা হলেও এখানেও আলুই ব্যবহার করেন তিনি। আর সেই কুরকুরে দিয়ে বানিয়ে ফেললেন চটপটির টপিং। তাতেই মাত করে নেন বিচারকদের।

দুই সন্তানের কিশোয়ারের ইচ্ছে হলো একটি রান্নার বই লিখবেন। পারিবারিকভাবে যত রেসিপি শিখেছেন সেগুলো ছড়িয়ে দিতে চান সবার মধ্যে। তবেই না বাঙালি জানবে, আলু-টমেটো দিয়ে মাছের ঝোলটা কিভাবে রান্না করলে তা বিদেশি জিবগুলোতেও আনতে জল।

হাফিংটন পোস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিশোয়ার চৌধুরী বলেছিলেন, ‘আমি যে বাঙালি রান্নাবান্না শিখেছি, সেগুলো কিন্তু বংশ পরিক্রমায় আমার কাছে এসেছে। আমি শুধু এসবে আমার নিজের এক চিমটি নতুনত্ব ছড়িয়ে দিয়েছি।’