শীত, নখদন্তে


nonameএখনো অনেক বাকি। ভাবতেই ফাঁকা মাঠ, হিম।
আমিও তার মুক্তির জন্য ধরে থাকি সমুদ্র, কাছের
দূরে কোথাও ভোর হচ্ছে, শুরু হোক ধীরে এভাবেই
শরীরের লোহা মাস্তুলের পাশে নতুন বছর
আমি প্রীতিলতার ছেলে ঢুকে গেছি উজ্জ্বল ক্যাবারে
সবুজ ঢিবিতে বসে, ভাবো, সেদিন এমনই ছিলো
আবারো পড়ছে হালুম, দৃশ্য দেখে উঠছে পর্দা
দর্শকের সারি থেকে বসে দেখি বোবাদের ভাষা
গাছে গাছে ছিন্ন মাথা, রমণির মুখ, স্তব্ধ মঠ
তোরণের অন্ধকারে জেগে থাকা ভগবতের দাঁত
ইলা, এখন রুদ্ধশ্বাস, কথা বললেই সাসপেন্সই মাটি
ভাবলেই হাওয়া বাতাসের রাত, জড়ো করছে চাঁদ
সন্ধ্যে সবে শুরু মাথা নিচু করে ওড়ে, সরু কাঁপা কাঁপা
মানুষের ডাকনাম, মাঝখানে পড়ে গেছি আমি


২.

তোমাকে চেয়েছি দিনে ও রাত্তিরে। তাই ফাঁকে ফাঁকে
অবিরত যাত্রা এক পা স্টিলের অন্য পা বিদ্যুতের
যথেষ্ট প্রেমিক নই, ভেবে, করে রেখেছো স্তম্ভিত
তোমার প্রেমের ভাষা- স্তব্ধ জিহ্বা, ক্ষুধা ও চুম্বন,

আগুনের স্পর্ধা দেখতে দেখতে যায় মেঘ, বিসর্জন
এ তোমার প্রেম বুঝি বিদ্যুৎ করপুটে গুঁড়ো হলে
ভয়াবহ, স্পর্শময়। অনাগ্রহে বসে আমি দেখি
হারিয়ে যাওয়া তুমি অন্য শত চোখের কুয়াশা

তবু আজো জাগরণে তুমি ততোদূরে মনে হয়
অতিরিক্ত মনে পড়ো ক্ষিপ্ত মর্মে পৌঁছে দিছো ভাষা
প্রকৃতির মতো; আমি নিরুপায়, আপাতত এখন
গলা উঁচু করছে আজ প্যারেটের তীর্থভূমি
উঠছে পৃথিবী ভরে ভ্যানগঘের তীব্রোান্মাদনা
ধৈর্য ধরো, ধাত্রি, বেরচ্ছে আমার মাথা গুলিবিদ্ধ