স্পষ্ট আবেগের উপস্থিতি নীরেন্দ্রনাথের কবিতায় চিরদিন ছিলো

nonameএই মুহূর্তে একটি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানানোর ক্ষমতা আমার নেই। নীরেনদার সঙ্গে আশৈশব ঘনিষ্ঠ হয়ে আছি৷ একটা অস্পষ্টতার সংগ্রাম যেন ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে। এলিয়টের শব্দকল্প ধার করে নিয়ে বলছি যে, 'স্পষ্ট আবেগের কবিতা' যাকে এলিয়ট বলেছেন তার উপস্থিতি চিরদিন নীরেন্দ্রনাথের কবিতায় ছিলো। কলকাতা থেকে একবার তাঁকে সাঁওতাল পরাগনায় ডাক দিয়েছিলাম। তিনি সেখানে গিয়ে বহুদিন ছিলেন। প্রথমেই অরুণকুমার সরকারকে ছন্দবদ্ধ চিঠি লিখেছিলেন। রিখিয়া পর্বের যে ফলশ্রুতি তাঁর কবিতায় থেকে গেছে, তাতে প্রকৃতির আহ্বান তাঁকে সারাজীবন সদর্থেই গ্রস্থ করে রেখেছিলো।

তাঁর সঙ্গে শেষ দেখা হয়েছিলো গতবছর। আমার মনে আছে, ক্যালিফোর্নিয়া থেকে একজন কবি এসেছিলেন কলকাতায়, তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েই নীরেনদার সঙ্গে দেখা। তিনি নীরেন্দ্রদাকে দেখতে চেয়েছিলেন। নীরেনদা খুব প্রাত্যহিক সহজাত পোশাকে ঋজু হয়ে দাঁড়িয়ে তাঁকে সম্ভাষণ করলেন এবং তাঁকে যে অনুপ্রাণিত করলেন সে কথা আমাদের সবারই মনে আছে। সবসময় তিনি আবির্ভাব কথাটি ব্যবহার করতেন। আশাবাদের কথা ব্যক্ত করতেন এবং তিনি অন্য কবিকে অনুপ্রাণিত করতে জানতেন। এই আদর্শ আমাদের সবারই অনুসরণ যোগ্য।

অনুলিখন : অরুণাভ রাহারায়