আমরা খুবই আশাবাদী এবার জমজমাট বইমেলা হবে

[অন্বেষা প্রকাশন সৃজনশীল সাহিত্য বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে প্রায় ১৭ বছর যাবৎ। বর্তমানে প্রবন্ধ, উপন্যাস, গল্প, কবিতা, নাটক, বিজ্ঞান, ভ্রমণকাহিনি, শিশু-কিশোর সাহিত্য রম্যরচনা স্বাস্থ্যবিষয়ক ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে গন্থ প্রকাশ করে। আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য বাঙালি সংস্কৃতি, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গ্রন্থের ওপর বিশেষ মনোযোগ দিয়ে আসছে। আর এ কারণেই সর্বাধিক সংখ্যক মানসম্মত গ্রন্থ রচনার জন্য বাংলা একাডেমি কর্তৃক 'শহীদ মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০১৩' সম্মাননা লাভ করে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও অন্বেষার পদচারণা রয়েছে, Australian Literature Society থেকে অন্বেষা প্রকাশন 'International Excellence in Creative Publishing Award 2019' অর্জন করেন। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২২ উপলক্ষ্যে অন্বেষা প্রকাশনের কর্ণধার পাবলিশার মো. শাহাদাত হোসেনের সাথে কথা বলেছেন কামরুন্নাহার সাথি।]

 

প্রশ্ন : আপনার প্রকাশনাপ্রতিষ্ঠান থেকে অমর একুশে গন্থমেলা ২০২২-এ কয়টি বই আসবে? গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বই সম্পর্কে ধারণা যদি দেন...

উত্তর : প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও অন্বেষা প্রকাশন প্রায় ৫০টি বই প্রকাশ করতে যাচ্ছে। উল্লেখযোগ্য বেশ কয়েকটি বই আসতে যাচ্ছে; তবে এই বইমেলায় যে বইটি আমাকে আশান্বিত করছে তা হলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক লিখিত 'ভাষণসমগ্র'। আর আমার কাছে এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ।

প্রশ্ন : বই প্রকাশ বা পাণ্ডুলিপি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোন দিকটাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন?

উত্তর : আসলে পাণ্ডুলিপি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নানাদিকে আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হয়। অন্বেষা বিশেষ করে তরুণ ও সৃজনশীল লেখকদেরকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। কারণ আগামীর প্রকাশনাশিল্প এবং সাহিত্য তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাবে। প্রবন্ধ, গবেষণা, নৃতত্ব, মুক্তিযুদ্ধ ইত্যাদি বিষয়ে তরুণরা লিখলে আমরা সেই লেখাগুলি প্রকাশ করতে আগ্রহ দেখাই।

প্রশ্ন : এবারের বইমেলার সার্বিক পরিস্থিতি কেমন লাগছে?

উত্তর : আমরা খুবই আশাবাদী, এবার জমজমাট বইমেলা হবে; অংশগ্রহণ করবেন পাঠক, লেখক এবং প্রকাশক—সবাইকে। এই আশা নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এখনো পর্যন্ত সবকিছু ঠিক আছে। তবে ওমিক্রন নিয়ে বেশ শঙ্কিত। কারণ, আমরা ব্যাপকভাগে যে প্রস্তুতি নিয়েছি সেখান থেকে ফিরে আসার সুযোগ নেই।

প্রশ্ন : বিগত বছরগুলো বিশেষ করে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২১ সম্পর্কে আপনার অভিজ্ঞতা জানতে চাই।

উত্তর : আপনারা জানেন যে গত বইমেলার পরিস্থিতি খুবই নাজুক ছিল। করোনা মহামারির কারণে বইমেলা একপ্রকার হয়নি বললেই চলে। তারপর নির্ধারিত সময়ের বাইরে হওয়াই পাঠকরা ঠিকভাবে পরিদর্শন করতে পারেনি এবং বই ক্রয়ও করতে পারেনি। যে কারণে আমরা প্রকাশকরা বড় ধরনের একটি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি।

প্রশ্ন : সারা বছর বই বিপণন নিয়ে আপনার ভাবনা কী?

উত্তর : সারা বছর বই বিক্রি নিয়ে আমাদের বিভিন্ন রকম পরিকল্পনা থাকে। আমরা অনলাইনে নিজস্বভাবে বই বিক্রি করি। এছাড়া বিভিন্ন ই-কমার্স সাইট যেমন—রকমারি.কম, বইবাজার.কম ইত্যাদির মাধ্যমে সারা দেশে বই বিক্রয় করে থাকি। বর্তমানে ক্রেতা যে শুধু বইমেলায় বা প্রকাশনীতে গিয়ে বই কিনবে এমন নয়, ডিজিটাল যুগে ঘরে বসে অনলাইন অর্ডার করলেই কিন্তু পৌঁছে যাবে তার কাঙ্ক্ষিত বইটি।