ফুল ফোটে নরকে

বিড়ালের গল্প

সেদিন একটি বিড়াল, গুটি গুটি পায়ে এসেছিল জানালায়। কিছু মাছের কাঁটা কিংবা উচ্ছিষ্ট কিছুর জন্য—এরকম ভাবতেই পারি আমরা। ভেবে—তার সামনে ছুড়ে ফেলি সেইসব উচ্ছিষ্ট।

বিড়াল তাকায় না কোনোদিকে। না খাবারের দিকে না আমাদের দিকে। তার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখি, সে খুব দূরগামী চোখে তাকিয়ে আছে—

তাকিয়ে আছে আমাদের দেয়ালে ঝোলানো এক ক্যালেন্ডারের পাতায়। মনোরোম এক বিড়ালের ছবি ছিলো সেখানে। ফ্যানের বাতাসে উড়ছিলো খুব।

ক্যালেন্ডারের পাতাটি জীবন্ত ছিলো অথবা পাতায় ফুটে থাকা বিড়ালটি। আমরা—আমি অথবা সে অথবা জানালার সেই বিড়ালটি জীবন্ত ছিলাম না কেবল।


ফুল ফোটে নরকে

এমন সন্ধ্যা! নরকের পাখিরাও ফিরে যায় রক্তমাংসের নীড়ে। আমাদের বানানো চুল্লীতে তখন পোষা বিড়ালটির গোলাকার মুখ। থেকে থেকে ভেসে আসে পোড়া পোড়া গন্ধ। তুমি বলো, কফিতে পালকের ওম না থাকলে চলে!

চলে না। তাইতো লিখিত কবিতার ভেজা কালিতে চুয়ে পড়ে কিছু বর্ণান্ধ বর্ণ। তুমি ধরে ফেলো আমাকে। বলো— তুমি কখনো কবি ছিলে না। শব্দের ঝংকার আর কলমের কালি দিয়ে ধর্ষণ করেছো শুধু কতিপয় চিত্র।

এ কথা শোনার পর হেঁটে চলি আমি পৃথিবীর সুগন্ধ চাতালে। ক্ষুদ্র পায়ে, নোংরা বাতাসে। চলতে চলতে মিশে যাই ধূলিতে, হাওয়ায়।

বহুকাল পর, কেউ একজন বলে, কে এঁকেছিল এমন মানচিত্র এই পৃথিবীর গুহায়!