আগামী ২২ অক্টোবর জীবনানন্দের প্রয়াণদিবসে এই পুরস্কারের অর্থমূল্য দশ হাজার টাকা ও সম্মাননাপত্র বরিশালে আনুষ্ঠানিকভাবে অর্পণ করা হবে।
সম্প্রতি পুরস্কার চূড়ান্তকরণসভা কবি আসাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ, ধানসিড়ি’র সম্পাদক মুহম্মদ মুহসিন, দূর্বা’র সহযোগী সম্পাদক কবি সারফুদ্দিন আহমেদ এবং ধানসিড়ি সাহিত্য সৈকত-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা কবি শামীম রেজা।
পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি জুয়েল মাজহার ১৯৬২ সালে নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। পেশা সাংবাদিকতা। কাব্যগ্রন্থ: দর্জি ঘরে একরাত, মেগাস্থিনিসের হাসি, দিওয়ানা জিকির। অনুবাদ: কবিতার ট্রান্সট্রোমার।
পুরস্কারপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক আব্দুল মান্নান সরকারের জন্ম ১৯৫২ সালে পাবনার বেড়া উপজেলায়। পেশা অধ্যাপনা। উপন্যাস: পাথার, যাত্রাকাল, কৃষ্ণপক্ষ,নয়াবসত, পিতিপুরুষ, আরশিনগর। গল্পগ্রন্থ: নিরাকের কাল, দুই দিগন্তের যাত্রী।
এই পুরস্কারের রীতি হচ্ছে—ধানসিড়ি ও দূর্বার প্রযোজনায় পাঁচজন কবি ও পাঁচজন কথাসাহিত্যিক-এর একটি শর্টলিস্ট দেশের বিশিষ্ট ১০ জন সাহিত্যিক বা সাহিত্য-সমঝদারের কাছে প্রেরণ করা হয়। উক্ত দশজনের নির্বাচনের বা ভোটের ভিত্তিতে একজন কথাসাহিত্যিক ও একজন কবিকে জীবনানন্দ পুরস্কার প্রদানের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়। এটি একটি দ্বিবার্ষিক পুরস্কার।
২০০৭ সালে এ পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়। এর আগে এ পুরস্কার পেয়েছেন—মাসুদ খান ও মহীবুল আজিজ (২০১৬), কবি খালেদ হোসাইন ও কথাসাহিত্যিক ইমতিয়ার শামীম (২০১৪), কবি খোন্দকার আশরাফ হোসেন ও প্রাবন্ধিক শান্তুনু কায়সার (২০১৩), কবি কামাল চৌধুরী ও কথাসাহিত্যিক সুশান্ত মজুমদার (২০০৮) এবং কবি আসাদ মান্নান ও কথাসাহিত্যিক সালমা বাণী (২০০৭)।