ক্ষুধা ।। ভাস্কর চৌধুরী

noname
তিনটে লোক কোদাল আর শাবল হাতে রাতে বাড়ি ফিরছে। তারা কৃষক। সহজ সরল মানুষ। বাড়িতে মাঝরাতে ভাত পাবে এমন আশা নেই; অথচ পেটে ক্ষিধে। তারা একে অন্যকে বললো, কি করি রে? খিদা যে। আরেকজন জানায়, ঘরে ভাত নাই তার। বলতে বলতে এক মহাজনের বাড়িতে এলো। শীতের রাত। কেউ জেগে নেই। সীমানার দেয়ালটা নরম ইটের। একজন বললো, চল সিঁদ কাটি। তারা সিঁদ কাটতে বসলো। ধীরে গুঁতো দিতেই দুচারটে ইট সরে গেলো। তখন তাদের একজন ইট ধরে রাখে আরেকজন কাটে। প্রায় অল্পতেই হা হয়ে যায়। রান্না ঘরটা উঠোনের মাঝখানে। খড়ের ছাউনি। ভেজানো কপাট। বিড়ি খাওয়া ম্যাচ জ্বালিয়ে তারা ভাতের হাঁড়ি পেলো। ডালিতে পেঁয়াজ-মরিচ। মুচিতে লবণ। একটা করে থালা নিয়ে নিঃশব্দে পান্তাভাত পেঁয়াজ দিয়ে খেলো। পেট টুবটুব করছে। তারা যেমন এসেছিলো, রান্না ঘরে শেকল তুলে দেয়ালের ফুটো দিয়ে বেরিয়ে গেলো। একজন বললো, আহা, বড় খিদা ছিলো রে! আরেকজন বললো, চুরি করিনি। চাইলেই দিতো। এতো রাইতে কে ডাকে? তৃতীয়জন বমি করতে করতে বললো, কামটা ঠিক হইছে কি?


 

আরো পড়ুন-

আবার গুলির শব্দ ।। চঞ্চল আশরাফ