বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় কৃষি অনুষদের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত শুকনা পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষ বিষয়ক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।
সেমিনারে কৃষিতত্ব বিভাগের প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. আবদুস সালামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা কমিটির সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান।
ড. মশিউর বলেন, এ প্রযুক্তিতে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে বীজ বপন করতে হয়। বীজতলা তৈরিতে কোন পানি প্রয়োজন হয় না। সামান্য অংকুরিত বীজ জো অবস্থায় সরাসরি জমিতে লাইন ধরে বপন করতে হয়। ফেব্রুয়ারিতে বপনের ফলে আমন ধান কাটার পরে সরিষা, আলু বা অন্যান্য রবি শস্য চাষের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। প্রচলিত কাদা পদ্ধতিতে যেখানে ১৫-৩০ বার সেচ দিতে হয় সেখানে ৪-৮ বার সেচেই এ পদ্ধতিতে ফসল ফলানো যায়। ভূগর্ভস্থ পানি খুব সামান্য উত্তোলন করতে হয় বলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের খরচ কম হয়। জমিতে পানির পরিমাণ কম থাকায় কাদা পদ্ধতির তুলনায় এ পদ্ধতিতে গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ কম হয়। এ পদ্ধতিতে ধানের জীবনকাল ১৫ দিন কমে যায়। প্রচলিত পদ্ধতির তুলান এ পদ্ধতিতে ধানের ফলন বেশি হবে বলেও জানান তিনি।
এ পদ্ধতি সম্পর্কে অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান আরও বলেন, ‘শুকনা পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষ’ বর্তমানে একটি পরিপক্ক, লাভজনক ও সময়োপযোগী প্রযুক্তি। পরিবশে বান্ধব এ পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষ করলে যেমন লাভবান হবেন কৃষক তেমনি লাভবান হবে সরকার ও দেশ।