রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করেছেন। শুক্রবারের মধ্যে নতুন করে অ্যাডহক কমিটি গঠন ও নির্বাচন কমিশনের কাজ শুরু করার আশ্বাসে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। তবে শুক্রবারের মধ্যে কমিটি গঠন না হলে আবারও আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১০ মে রুয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেন জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। বুধবার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রুয়া নির্বাচন কমিশনের প্রধান কমিশনার পদত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে।
এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে রুয়া নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধিদল উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার জন্য বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করে। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ প্রশাসনের কর্তা-ব্যক্তিরা বাইরে এসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘আমি ওয়াদা ভঙ্গকারী নই। যে কথা আমি রাখতে পারবো না, সেই কথা বলবো না। বিধিমালার বাইরে আমি কোনও কাজ করবো না। শুক্রবারের মধ্যে অ্যাডহক কমিটি গঠন ও নির্বাচন কমিটির কাজ শুরু করবো। আমি এমন কোনও অ্যাডহক কমিটি করবো না, যার জন্য আমাকে আবার ধাক্কা খেতে হয়। এমন অ্যাডহক কমিটি ও নির্বাচন কমিশন গঠন করবো, যেন নৈতিকতা ও মেরুদণ্ড নিয়ে প্রশ্ন না ওঠে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান বলেন, ‘উপাচার্যের আশ্বাসে আমরা আজকে আন্দোলন স্থগিত করেছি। কালকের মধ্যে অ্যাডহক কমিটি না হলে আমরা আবার একই স্থানে এসে আন্দোলন করবো।’