৯ দফা দাবিতে আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্লাস বর্জন

শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা পরিবর্তন ও শিক্ষকদের জন্য সংশ্লিষ্ট সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিসহ ৯ দফা দাবিতে সকল প্রকার ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

aust_protest2

বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর বৈঠকে শিক্ষকদের দাবি পূরণ না হওয়ায় রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ট্রেজারার ও বিভাগীয় প্রধানদের অবরুদ্ধ করেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।

সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান নেন । তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা চললেও তাদের থেকে কোনও ধরনের ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। গত ১৫ দিন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনদের পর সোমবার ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।

৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটে প্রকাশিত শিক্ষক নিয়োগের নতুন নীতিমালাকে অসঙ্গতিপূর্ণ হিসেবে দাবি করেন তারা। তাদের অভিযোগ, বেতন-ভাতা বৃদ্ধির পরিবর্তে অতিরিক্ত কর্মঘন্টা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাদের উপর।

শিক্ষকরা জানান, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

শিক্ষকদের পেশকৃত ৯ দফা দাবিগুলো হচ্ছে- সদ্য প্রকাশিত শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা; অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক , প্রভাষক- শুধুমাত্র এই চারটি পদ রেখে একটি যুক্তিসঙ্গত শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন করা, বর্তমান বেতনের ৬০ শতাংশ বৃদ্ধিসহ অন্যান্য ভাতা বৃদ্ধি করা, বাৎসরিক প্রবৃদ্ধির হার মূল বেতনের ১০ শতাংশ করা, সকল শিক্ষকের জন্য প্রযুক্তি ভাতা নিশ্চিত করা, চাকরিতে যোগদানের তারিখ থেকে সকল শিক্ষকের আনুতোষিক নিশ্চিত করা, মানসম্মত গবেষণা কাজ ও উচ্চশিক্ষার জন্য অতিরিক্ত বেতন-ভাতার ব্যবস্থা করা, বর্তমানে শিক্ষকদের জন্য নির্ধারিত কর্মঘণ্টাকে শিক্ষকদের পদের ভিত্তিতে কমানো এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী কমিটিতে শিক্ষকদের প্রতিনিধি হিসেবে সাধারণ শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করা।