তরুণদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানালেন আবদুল মান্নান

২০৩০ সালে বাংলাদেশ ২৬তম অর্থনীতির দেশ হবে বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। রবিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের সম্মিলিত নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

01 (1)
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বে ক্রয় ক্ষমতার সূচকে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান ৩১ তম। এছাড়া গ্রামীণ অর্থনীতির দেশের মধ্যে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য হারে উন্নয়ন সাধন করেছে। যা স্বাধীনতার পরবর্তী সূচক পর্যালোচনা করলে উন্নয়নের বাস্তবতা দৃশ্যমান হয়। দেশে বর্তমানে ৪৮ মিলিয়ন তরুণ জনসংখ্যা রয়েছে। যা দেশের জন্য বড় সম্পদ। বিশ্বে ১০-২৪ বছরের তরুণ জনসংখ্যা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র সনদ অর্জনের জন্যই পড়ালেখা করবে না, জ্ঞানার্জন এবং যোগ্য ও আলোকিত মানুষ হিসেবে নিজেকে তৈরি করবে।’ এ সময় তিনি শিক্ষা জীবন শেষে চাকরির পেছনে না ঘুরে তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখারও আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। এছাড়া বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার ও বিশ্ববিদ্যালয় হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সুপারনিউমেরারি অধ্যাপক ড. মনজুর মোরশেদ খান।
চবি ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আওরঙ্গজেবের সভাপতিত্বে এবং মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ জাভেদ হোসেন ও সহযোগী অধ্যাপক দীপান্বিতা ভট্টাচার্য্যরে পরিচালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী, প্রক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী, ছাত্র-ছাত্রী পরামর্শ ও নির্দেশনা কেন্দ্রের পরিচালক ও অ্যাকাউন্টিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আহমদ সালাউদ্দিন এবং প্রীতিলতা হলের প্রভোস্ট পারভীন সুলতানা। এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চবি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. সাহিদুর রহমান, ফাইন্যান্স বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সজীব কুমার ঘোষ, ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সুলতান আহমেদ ও অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অ্যাকাউন্টিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: আইয়ুব ইসলাম। পরে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।