মৎস্যজীবীদের আর্থসামাজিক অবস্থা নিয়ে সিকৃবি শিক্ষার্থীর গবেষণা প্রকাশিত

নদী আর হাওরবেষ্টিত জেলা হবিগঞ্জ। জলাশয়গুলো ভরপুর মাছে। এই মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন হবিগঞ্জের বেশ বড় এক মৎস্যজীবী সম্প্রদায়। হবিগঞ্জ সদর উপজেলার মৎস্যজীবীদের আর্থসামাজিক অবস্থা নিয়ে সম্প্রতি গবেষণা করেছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের চতুর্থ বর্ষের দুই শিক্ষার্থী সাকিব তাহমিদ রিশান ও ইফতেখার আহমেদ ফাগুন। গবেষণাপত্রটি ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়াটিক স্টাডিজ’ এ প্রকাশিত হয়েছে আজ সোমবার (২৭ মে)। হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পৈল, উমেদনগর, শিকারপুর, টঙ্গির ঘাটসহ মোট ৮টি গ্রামের মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য নিয়ে গবেষণাটি করা হয়। মৎস্যজীবীদের বয়সসীমা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, বৈবাহিক অবস্থা, পরিবারের সদস্য, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, ঘরবাড়ির অবস্থা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, প্রশিক্ষণ, সমবায়ে অংশগ্রহণ, বাৎসরিক আয়সহ বিভিন্ন পরিসংখ্যান উঠে এসেছে গবেষণায়।

Research on Socio economic status of fisher of Habiganj
গত বছর আগস্ট থেকে নভেম্বর মাসে গবেষণার প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করেন দুই শিক্ষার্থী। সাকিব তাহমিদ রিশান জানান, হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় বিশাল এক জনগোষ্ঠী মৎস্য আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। তাদের খুব অল্প একটা অংশের জীবনযাত্রার মান খানিকটা উন্নত হলেও বেশিরভাগই দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছেন। মূলত খোয়াই নদী, ঘুঙ্গিয়াজুড়ি হাওরসহ বেশ কয়েকটা জলাশয় থেকে তারা মাছ আহরণ করেন। বিভিন্ন কারণে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই নাজুক। বছরের যে সময়ে মাছ কম পাওয়া যায়, সে সময় তারা অনেকে বিকল্প কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। রিশান বলেন, ‘পারিবারিক সূত্রে পাওয়া এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় ঝুঁকছেন অনেকে। তাদের আর্থসামাজিক অবস্থার একটা চিত্র তুলে আনতেই আমাদের এই গবেষণাটি ছিল। পরবর্তীতে তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নয়নে যেকোনও পদক্ষেপ নিতে এই গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য সহায়ক হবে।’