তিনি আরও বলেন, এ দিবসে ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। এ দিবসে দোয়া করা হয়, ফাতিহা পড়া হয়। তবে জাতীয় শোক দিবসে কোথাও রাষ্ট্রপতি থাকলে জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। তাছাড়া জাতীয় সংগীত বাজানোর কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। সেজন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় শোক দিবসে জাতীয় সংগীত বাজানো হয়নি। শুধু ১৫ আগস্টের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত জানিয়ে নীরবতা পালন করাসহ ১৫ আগস্টের অন্যান্য কার্যক্রম পালন করা হয়েছে। তাই এখানে কোনও আইন ভঙ্গ হয়নি। সে কারণে আমি এটা আইনের নোটিশ বলে মনে করি না এবং বিষয়টি অনেকটা হাস্যকর।
উল্লেখ্য, সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত না গাওয়ায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও জবি উপাচার্যসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠান অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ। দুপুরে ডাক ও রেজিস্ট্রিযোগে এই নোটিশ পাঠান বলে তিনি জানান। নোটিশ পাওয়ার পর থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তিনি জানিয়েছেন, উল্লেখিত ৬ ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নোটিশে বলা হয়, গত ২৮ আগস্ট ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে। আপনাদের উপস্থিতিতে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আপনারা জাতীয় সংগীত পরিবেশন না করে আইন লঙ্ঘন করেছেন এবং সর্বোপরি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবমূল্যায়ন করে ও অশ্রদ্ধা জানিয়ে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তাই আপনারা আপনাদের পদে বহাল থাকতে পারেন না।
আইনি নোটিশের বিষয়ে উপাচার্য আরও বলেন, এখানে আইন ভঙ্গ হয়নি। সে কারণে আমি এটা আইনের নোটিশ বলে মনে করি না এবং বিষয়টি অনেকটা হাস্যকর। যে আইনজীবী রিট দায়ের করেছেন তার কাজই হচ্ছে রিট করা এবং এর মাধ্যমে আলোচনায় আসা। তিনি প্রায় এরকম একটা দুইটা রিট করেন, যার কোনোটাই আমলযোগ্য নয়। তিনি এমনটি করে থাকেন যাতে আলোচনায় আসতে পারেন।