খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সমাবর্তন ২২ ডিসেম্বর

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল রবিবার (২২ ডিসেম্বর)। সমাবর্তনের সকল পর্যায়ের প্রস্তুতি সম্পন্ন। চলছে শেষ সময়ের মহড়া। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে  সভাপতিত্ব করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ। সমাবর্তন বক্তব্য প্রদান করবেন একুশে পদক প্রাপ্ত বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. অনুপম সেন।
খুবির উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জনসহ গুরুত্বপূর্ণ দিক উল্লেখ করে বক্তব্য প্রদান করবেন। এছাড়া স্বাগত বক্তব্য রাখবেন ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ। 
এর আগে রাষ্ট্রপতিকে লালগালিচা সংবর্ধনা দিয়ে বরণ করে নেওয়া হবে। মূল অনুষ্ঠানের আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের অদূরে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ‘কালজয়ী মুজিব’ উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি। এরপর তিনি সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী পরিষদের কয়েকজন সদস্য, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, সংসদ সদস্যবৃন্দ, সচিববৃন্দ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবৃন্দ, সামরিক ও বেসামরিক, বিভাগীয়, জেলা পর্যায়ের প্রশাসন, বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ, নির্বাচিত স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
সমাবর্তন উপলক্ষে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ সেজেছে চমৎকার সাজে। আলপনায় রঙিন হয়েছে পিচঢালা রাস্তা। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, হলসমূহ, উপাচার্যের বাসভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও অবকাঠামো অলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতরে ও নগরীর দর্শনীয় স্থানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির ছবি শোভা পাচ্ছে। নির্মিত হয়েছে পাঁচ হাজার অতিথি ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন আধুনিকমানের বিশাল প্যান্ডেল ও মঞ্চ। সমাবর্তনকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি খুলনা শহরেও নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তার ব্যবস্থা। বিশ্ববিদ্যালয়সহ খুলনার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সার্বক্ষণিক সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ পাশাপাশি মাঠপর্যায়ে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অনুষ্ঠানস্থলসহ গোটা ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকা বিশেষ নিরাপত্তা মনিটরিংয়ের আওতায় নেওয়া হয়েছে।
এবারের সমাবর্তনে  ৪ হাজার ৪৭৮ জনকে স্নাতক, ২ হাজার ৫৩০ জনকে স্নাতকোত্তর, ৫ জনকে এমফিল,  ৮ জনকে পিএইচ. ডি এবং ১৭ জনকে পোস্ট-গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন ডিগ্রি প্রদান করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের (অনুষদ) পরীক্ষার ফলাফলে অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য এবার ২৩ জন শিক্ষার্থীকে রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক প্রদান করা হবে।