ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির আঞ্চলিক সেমিনার

News-1অর্থনীতিকে সবার নিকট গভীরভাবে তুলে ধরার জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি’ এবং অর্থনীতি বিভাগের আয়োজনে আঞ্চলিক সেমিনার-২০২০ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারটি ইবিতে দ্বিতীয় বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার(১৮ জানুয়ারী) সকালে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারের উদ্ধোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড.হারুন-উর রশিদ আসকারী।

এসময় উপাচার্য বক্তব্য রাখেন। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেমিনারের সভাপতি ও  ইবির অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক ও সাবেক সভাপতি ড. আব্দুল মুঈদ। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি'র সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড.আবুল বারকাত।

বিশেষ অতিথি  হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন উপ-উপচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.সেলিম তোহা। এছাড়াও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সদস্যবৃন্দ এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক,শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।আঞ্চলিক সেমিনারের আহবায়ক ছিলেন অধ্যাপক ড.আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড.আবুল বারাকাত বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে অর্থনীতিতে সমৃদ্ধ একটি দেশ। বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে ভিক্ষুকের আর দেশ নাই এদেশ। অদূর ভবিষ্যতে ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ বিশ্বের শক্তিশালী প্রথম সারির ২০ টি অর্থনীতির দেশ হবে।

তিনি বঙ্গবন্ধুকে বিশ্ববন্ধু আখ্যায়িত করে বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের অধিবেশনে বিশ্বের প্রতিনিধিদের সামনে বলেছিলেন- আপনারা পরমাণু অস্ত্রসহ সকল প্রকার অস্ত্র সরঞ্জামাদি বন্ধ করে মানব জাতির কল্যাণে ব্যবহার করুন। তিনি আরো বলেন, ৪র্থ ও ৫ম( রোবোটিক্স) শিল্প বিপ্লব আসছে। বৈশ্বিক ভবিষ্যত আতঙ্কগ্রস্থ হতে পারে ৪টি কারণে, সেগুলো হলো- ১) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ২) অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক বৈষম্য, ৩) জলবায়ু পরিবর্তন ও ৪) সন্ত্রাসবাদ।

তিনি আরও বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চাই যার স্বপ্ন তিনি দেখেছেন। আমি চাই  আমেরিকা নয়, আমাদের দেশ অর্থনীতিতে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হবে। আমরা আমেরিকা থেকে অনেক ভালো অবস্থানে আছি কারণ আমেরিকায় প্রতি ৫ জনে একজন দরিদ্র অবস্থায় জন্মগ্রহণ করে।

এরপর সেমিনারের ২য় পর্বের অধিবেশনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এ জেড এম সালেহ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি তার প্রবন্ধ বিস্তারিত উপস্থাপন করেন। তার প্রবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘বঙ্গবন্ধু-দর্শন’: তত্ত্ব, প্রয়োগ ও উচ্ছেদিত সম্ভাবনা।’