শিক্ষার্থীদের এসব সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ও সুবিধার জন্য অনলাইন তথ্যকেন্দ্র চালু করেছে ইবি কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদেরকে আর সেলফ থেকে বই খুঁজতে হবেনা। গ্রন্থাগারের সব বইয়ের তথ্য পাওয়া যাবে অনলাইনে। বিশ্বের যে কোনও প্রান্ত থেকে জানা যাবে গ্রন্থাগারে কোন বইটি সংরক্ষিত আছে। শুধু তাই নয় জানা যাবে বইটি গ্রন্থাগারের কত তলায় কোন সেলফে পাওয়া যাবে। সেইসঙ্গে জানা যাবে বইটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
সহ-গ্রন্থাকারিক ও এই কার্যক্রমের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল আজিজ জানান, কোনও একটি বইয়ের নাম, লেখক, প্রকাশনী, যে বিষয় সম্পর্কিত বই সে বিষয় এবং প্রতিটি বইয়ের জন্য থাকা নির্দিষ্ট বার কোড দিয়ে সার্চ করলে বইটি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে। নির্দিষ্ট বিভাগ বা শিরোনামের বইয়ের ক্ষেত্রে সে বিভাগ বা শিরোনাম লিখে অনুসন্ধান করলে সে বিষয়ে থাকা সব বইয়ের তালিকা ও তথ্য পাওয়া পাওয়া যাবে। একইভাবে কোনো লেখক বা প্রকাশনীর নাম লিখে সার্চ করলে গ্রন্থাগারে থাকা সেই লেখক বা প্রকাশনীর সকল বইয়ের তথ্য জানা যাবে।
তিনি আরও জানান, বইয়ের যেকোনো একটি তথ্য দিয়ে অনুসন্ধান করলে একটি বইটির নাম, লেখক, প্রকাশনী, পৃষ্ঠা সংখ্যা, ভলিউম সাইজ, বার কোড ও আইএসবিএন অনুযায়ী বইটি মান জানা যাবে। সেই সঙ্গে বইটি গ্রন্থাগারর কত তলায় কোন সেলফে কত সংখ্যক আছে পাওয়া যাবে জানা যাবে সে তথ্যও।
ইবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে থাকা মোট ১ লাখ ৮ হাজার বইয়ের মধ্যে প্রাথমিকভাবে ৫০ হাজার বইয়ের তথ্য অনলাইনের আওতায় আনার কাজ চলছে। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাকি বই ও বিভিন্ন বিভাগের সেমিনার গ্রন্থাগারে থাকা বইয়ের তথ্য যুক্ত করা হবে।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) নির্দেশনায় ইবির আইসিটি সেলের কারিগরি সহযোগিতায় ৭ মাস ধরে এই অনলাইনে তথ্য লিপিবদ্ধের কাজ চলে। আগামী ৮ ফ্রেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ডিজিটাল লাইব্রেরি অ্যাকসেস সেন্টারের উদ্বোধন করা হবে।