সেশনজটের ক্ষতি পোষাতে যেসব পরিবর্তন আনছে শেকৃবি

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বন্ধ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সেশনজটের কবলে পড়ার আশংকা রয়েছে। এই সেশনজট ঠেকাতে এবং ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থায় আংশিক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি)। আপাতত অনলাইনে অল্পকিছু কার্যক্রম চালালেও করোনা শেষে ক্লাসের সময়সূচি, কার্যদিবস ইত্যাদিতে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে তারা।রবিবার (১০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন আহাম্মদের উপস্থিতিতে ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেকেন্দার আলীর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়।

শেকৃবি
বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী কারিগরি সুবিধার আওতায় না থাকায় ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রম  অনেকটাই প্র্যাকটিক্যালভিত্তিক হওয়ায় তাদের পক্ষে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো সম্ভব হচ্ছে না। এমন অবস্থায় করোনা মহামারী শেষে শিক্ষা কার্যক্রমে কিছু পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মহামারী চলাকালীন শিক্ষা উপকরণসমূহ (ক্লাস নোট) একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রদান করা হবে। এছাড়াও স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রির ক্লাসগুলোর শিক্ষাদিবস ৫ দিনের পরিবর্তে ৬ দিনই করা হবে। ৫৫ মিনিট থেকে ক্লাসের নির্ধারিত সময় ৪৫ মিনিটে ধার্য করে সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত ক্লাস পরিচালনা করা হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেকেন্দার আলী বলেন, ‘অনলাইনভিত্তিক ক্লাস নেওয়ার ক্ষেত্রে বিবেচনা করতে হবে তা কতটুকু ফলপ্রসূ হবে। টেকনিক্যাল এডুকেশনের ক্ষেত্রে আংশিক ডিজিটালাইজেশন সম্ভব হলেও পুরোপুরি করলে তা ফলপ্রসূ হয় না। এখানে হাতে কলমে শেখার বিষয়গুলো প্রাধান্য বেশি পাওয়ায় তা একটু জটিল হয়ে পড়ে।’
সভা থেকে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি অ্যাসাইনমেন্টস, থিসিস এবং অন্যান্য সম্পর্কিত কাজগুলো এই পরিস্থিতিতে ডিজিটাল উপায় (অনলাইন) ব্যবহার করে দ্রুত সম্পাদন করার চেষ্টা করা হবে এবং চলমান থিসিস সেমিস্টার থিসিস ডিফেন্স অফিস খোলার পর পরিচালনা করা হবে। এছাড়াও মহামারী চলাকালীন কয়েকটি সেমিস্টারের স্থগিত ফলাফল অতি দ্রুত প্রদানের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অনুষদকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বানও জানানো হয় এ সভায়।
উপ-উপাচার্য আরও বলেন, ‘স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি থিসিসের গাইডলাইনগুলো আমি এবং সংশ্লিষ্ট অনেক শিক্ষকই অনলাইনভিত্তিক করার চেষ্টা করছি। চেষ্টা করছি যেন পুনরায় শিক্ষাকার্যক্রম শুরুর তিন থেকে চার সপ্তাহের ভেতরে চলমান সকল সেমিস্টার শেষ করে ফেলতে পারি।’