ল্যাবেই কাটবে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা যোদ্ধাদের ঈদ

চলমান পরিস্থিতিতে করোনা শনাক্তকরণ ল্যাবেই কাটবে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) করোনা যোদ্ধাদের ঈদ। দেশের এই সংকটকালে স্বেচ্ছায়  করোনা শনাক্তকরণ কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।  চলতি মাসের ১১ মে থেকে নোবিপ্রবিতে শুরু হয়েছে করোনার নমুনা পরীক্ষা।  

received_266332424422137

নোবিপ্রবির অনুজীববিজ্ঞান বিভাগের পিসিআর ল্যাবে বিভাগীয় চেয়ারম্যান ড. ফিরোজ আহমেদের নেতৃত্বে করোনা শনাক্তকরণ কার্যক্রমের সাথে যুক্ত আছেন একদল মেধাবী ও সাহসী শিক্ষার্থী। কোনও রকম আর্থিক প্রণোদনা ছাড়াই নিরলসভাবে কাজ যাচ্ছেন তারা।

তারা হলেন অনুজীববিজ্ঞান বিভাগের আমিনুল ইসলাম, এফ. এম. আশিক মাহমুদ,  মাকসুদুর রহমান নাইম, তাহসিন সাকিব, মো. খালিদ ইসলাম, তামজিদ অনিক, জাহিদুল ইসলাম, নাঈমুর রহমান ও আকাশ হান্নান, বিজিই বিভাগের আরিফ মাইন উদ্দিন, সিএসটিই বিভাগে রাকিব, শান্ত এবং ইএসডিএম বিভাগের সাহেদুল সুজন।

ল্যাবে কর্মরত একাধিক ভলান্টিয়ারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, করোনা মোকাবেলায় তারা মানসিকভাবে প্রস্তুত রয়েছেন। ঈদের ছুটির কথা চিন্তা না করে বরং মহামারীর এই সময়ে কীভাবে দেশ ও জাতির জন্য কাজ করে যাবেন সেটাই এখন তাদের কাছে মুখ্য বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে দেশের এই সংকটকালে কাজ করে যাওয়াই শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য হিসেবে মত দেন তারা।

অনুজীববিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী খালিদ ইসলাম বলেন, ‘নোবিপ্রবিতে যখন করোনা শনাক্তকরণ কার্যক্রম শুরু হলো, তখনই যোগ দিই। মানুষের জন্য কিছু করতে পারছি- এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া। ভলান্টিয়ারদের জন্য ক্যাম্পাসের বাইরে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা আছে। তাই ঈদের দিনও ক্যাম্পাস থেকে বের হবো না। মা বাবাকে এ ব্যাপারে সব বুঝিয়ে বলেছি। করোনা মহামারী শেষেই একসাথে হবো সবাই।’

অনুজীববিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এফ.এম. আশিক মাহমুদ বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের তাণ্ডবে সারাবিশ্বই যখন বিপর্যস্ত, ঠিক তখনই আমাদের অনুজীববিজ্ঞান বিভাগের  চেয়ারম্যান ড. ফিরোজ আহমেদ স্যারের ডাকে সাড়া দিয়ে করোনা শনাক্তকরণ ল্যাবে ভলান্টিয়ার হিসেবে যোগ দিই। এই ভাইরাস নিয়ে কাজ করে যদি দেশ ও মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি সেটাই হবে সবচেয়ে বড় পাওয়া।  পরিবার ছাড়া এবারই প্রথম ক্যাম্পাসে ঈদ করছি। বাড়ির জন্য কিছুটা মন খারাপ হলেও ভালো কিছুর জন্য নিজের ক্ষুদ্র সুখ বিসর্জন দিতে পিছপা হচ্ছি না।’