পদযাত্রায় যেতে বাধ্য করার অভিযোগে চবির ৩ শিক্ষার্থীকে শোকজ

মিটন চাকমা নামের এক ছাত্রকে জোর করে পদযাত্রায় যেতে বাধ্য করার অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) তিন শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে প্রক্টরের দফতরে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে লিখিত জবাব দিতে হবে।

অভিযুক্ত তিনজন হলেন—ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের কেন্দ্রীয় সদস্য পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফী নিতু, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের বিশ্ববিদ্যালয় নেতা অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী শাহ মোহাম্মদ শিহাব ও সংগঠনটির চট্টগ্রাম নগরের নেতা ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী রাজেশ্বর দাশগুপ্ত।

মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত পৃথক শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে পরিবহন চালুর দাবিতে গত ২ সেপ্টেম্বর আয়োজিত এক পদযাত্রায় জোরপূর্বক বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র মিটন চাকমাকে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই তিন ছাত্রনেতা। আশরাফী নিতু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এই অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। মিটন চাকমা অন্য একটি সংগঠনের কর্মী। তার সঙ্গে আমাদের তিনজনের যোগাযোগ নেই। সেদিন যে কর্মসূচি ছিল তাতে অন্য প্রগতিশীল সংগঠনগুলোও যুক্ত ছিল। স্মারকলিপি দেওয়ার পর তাকে আটকে রেখে জোরপূর্বক এই অভিযোগপত্র আদায় করা হয়।

তিনি আরও বলেন, অভিযোগপত্রে বিষয় লেখা হয়েছে ‘বাধ্য করা’, আর তার ধরন সম্পর্কে বলা হয়েছে ‘উৎসাহ’ ও ‘প্ররোচনা’। কিন্তু কর্মসূচিতে নেওয়ার জন্য কর্মীদের উৎসাহ ও প্ররোচনা তো দিতেই পারে। এখন এই বিষয়টার জন্য জবাবদিহি করতে হবে? বিষয়টা নিয়ে আসলেই আমরা খুব বিব্রত।

এদিকে শোকজ নোটিশ দেওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক সাদ্দাম মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্দোলনে অংশ নেওয়ার জন্য কোনও শিক্ষার্থীকে বাধ্য করার অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের চরম নির্লজ্জ প্রহসন। বাস্তবে আন্দোলনকারী ছাত্র নেতাদের হয়রানি করার উদ্দেশ্যেই এ ধরনের উদ্ভট অভিযোগ আনা হয়েছে। অবিলম্বে তিন ছাত্র নেতার শোকজপত্র প্রত্যাহার ও শিক্ষার্থীদের পরিবহন নিশ্চিতের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।