রাবির আইবিএ

৩ মাস অনুপস্থিত শিক্ষক, প্রশ্নপত্র তৈরি না হওয়ায় পরীক্ষা স্থগিত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ৪০৯ নম্বর কোর্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে ‘অনিবার্য কারণ’ উল্লেখ করে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ দেওয়া হয়। 

ইনস্টিটিউটের পরিচালক বলছেন, ৪০৯ নম্বর কোর্সের শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে আসেন না। তিনি ছুটিও নেননি। তাই প্রশ্নপত্র তৈরি না হওয়ায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। 

ইনিস্টিটিউট সূত্রে জানা যায়, আইবিএর দ্বিতীয় ব্যাচের ৪০৯ নম্বর কোর্স (ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট) শিক্ষক ছিলেন ইনস্টিটিউটের প্রভাষক এটিএম শাহেদ পারভেজ। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহানের জামাতা। শাহেদ পারভেজ প্রায় তিন মাস ধরে ইনস্টিটিউটে আসেন না। তার অধীনে থাকা চতুর্থ ও পঞ্চম ব্যাচের যথাক্রমে ২০৬ ও ১০১ কোর্সের ইনকোর্স মার্ক, স্কিপট ইভালুয়েশন করেননি। 

আরও পড়ুন: রাবির সাবেক উপাচার্যের জামাতার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি

ওই দুটি কোর্সের ফলাফল আটকে আছে। দ্বিতীয় ব্যাচের চূড়ান্ত পরীক্ষা গত ১৫ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ৩০  ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ দিন ৪০৯ নম্বর কোর্সের প্রশ্নপত্র তৈরি না হওয়ায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।  
 
ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক জিন্নাত আরা বলেন, আমি গত ১১ অক্টোবর ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে যোগদান করি। এরপর থেকে আমাদের ওই শিক্ষক ইনস্টিটিউটে আসেননি। ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে গত ২৪ অক্টোবর তার রাজশাহীর ঠিকানায় এবং পরবর্তীতে স্থায়ী ঠিকানায় চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু কেউ চিঠি গ্রহণ করেননি।

তিনি আরও বলেন, ওই শিক্ষকের অধীনে থাকা ৪০৯ নম্বর কোর্সের প্রশ্নপত্র তৈরি না হওয়ায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া তার অধীনে থাকা ১০১ ও ২০৬ চূড়ান্ত ফল প্রকাশে জটিলতা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়েছি। প্রশাসন শিক্ষার্থীদের বিষয়ে বেশ আন্তরিক। আশা করছি দ্রুতই সিদ্ধান্ত আসবে।

প্রভাষক এ টি এম শাহেদ পারভেজের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়। 

এদিকে শাহেদ পারভেজের বিরুদ্ধে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫৫ তম শিক্ষা পরিষদ সভায় এই কমিটি গঠন করা হয়। 

ছুটি না নিয়ে ইনস্টিটিউটে অনুপস্থিত থাকা, তার অধীনে থাকা কোর্সগুলোর নম্বরপত্র জমা না দেওয়াসহ কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করে ইনস্টিটিউটের পরিচালকের দেওয়া এক চিঠির প্রেক্ষিতে এই কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা পরিষদ।