এক হলের অর্ধশতাধিক ছাত্রী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে চার দিনে অর্ধশতাধিক ছাত্রী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত কয়েকদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টার ও আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারের উপ-প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা নিপা শবনব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, গত চার দিনে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ৬০ ছাত্রী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে গতকাল বুধবার বেলা ২টা পর্যন্ত ১৫, মঙ্গলবার ১৪, সোমবার ১২ ও রবিবার ১২ ছাত্রী চিকিৎসা নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ছাত্রী হলের পাঁচ শিক্ষার্থী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এছাড়া সাত অনাবাসিক শিক্ষার্থী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়ে গেছেন।

উপ-প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা নিপা শবনব বলেন, ‘আবাসিক ও অনাবাসিক মিলিয়ে এ পর্যন্ত ৬০ শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের অধিকাংশই বমি, পাতলা পায়খানা ও পেটব্যথা নিয়ে চিকিৎসার জন্য এসেছেন। তাদের ওষুধ ও খাবার স্যালাইন দিয়েছি।’

এদিকে, অনিরাপদ পানি ও অস্বাস্থ্যকর খাবারে কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তবে হল কর্তৃপক্ষ বলছেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন তারা। হলে সরবরাহকৃত পানি গবেষণাগারে পরীক্ষা করার পর কোনও জীবাণু পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন প্রভোস্ট।

হল ডাইনিংয়ের প্রধান পরিচালক নূর মোহাম্মদ বলেন, ‌‘হলের প্রধান সমস্যা নিরাপদ পানি। পানি কিছুক্ষণ গ্লাসে রাখলেই আয়রনের কারণে লাল হয়ে যাচ্ছে। গ্লাস ও জগে কয়েক দিনের মধ্যে আয়রন পড়ে যাচ্ছে। নিরাপদ পানি এনে রাখার মতো ব্যবস্থা ডাইনিংয়ে নেই। হয়তো ওসব পানি পানে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।’

শিক্ষার্থীদের ডায়রিয়ার প্রকোপ নিয়ে হল প্রভোস্ট শামীমা বেগম বলেন, ‘যাদের ডায়রিয়া হয়েছে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা হল পরিদর্শন করছি নিয়মিত। ছাত্রীদের অপরিচ্ছন্নতার বিষয়টিও নজরে এসেছে। সুস্থ থাকতে নিজেদেরও পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা শুধু শুধু অভিযোগ করছে, পানি ঘোলা ও গন্ধ করছে। আমরা দেখতে পেয়েছি, পানি পরিষ্কার। তারা যেহেতু নতুন এসেছে, তাই মানিয়ে নিতে হয়তো কিছুদিন সময় লাগবে। প্রতিটি তলায় পানির ফিল্টার বসানো হবে।’