নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে একই বিভাগের শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক।
এদিকে অভিযুক্ত কর্মচারীর বিচারের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন করেছেন বিভাগটির সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রবিবার (২৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হয়ে শিক্ষকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিচার চেয়ে আন্দোলন করেন।
ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদুল তাহসিন বলেন, ‘আমরা আমাদের শিক্ষকের সঙ্গে হওয়া অসৌজন্যমূলক আচরণের সুষ্ঠু বিচার চাই। এ দাবিতেই আমরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছি।’
এ বিষয়ে বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আল আমিন শিকদার বলেন, ‘বিভাগের প্রয়োজনে মোবাইল ফোনে কল দিলে অফিসের কর্মচারী মিজান আমার সঙ্গে অনেক বাজে আচরণ করেন। পরে বিভাগের চেয়ারম্যানের সঙ্গে বসে এসব বিষয়ে কথা বলা হবে বলে আমি ফোন কেটে দিই। তিনি আবার কল করে আমাকে যাচ্ছেতাই গালাগালি শুরু করেন এবং আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। স্থানীয় প্রভাব দেখিয়ে তিনি প্রায়ই এভাবে শিক্ষকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে থাকেন। এর আগেও বিভাগের আরেক সিনিয়র শিক্ষকের সঙ্গে তিনি খারাপ আচরণ করেছেন।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মিজানুর রহমান। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘মোবাইল ফোনে স্যার আমাকে হুমকি দিয়েছেন। আমি কীভাবে এখানে চাকরি করি তা দেখে নেবেন বলেছেন। স্যার আমার বিরুদ্ধে লেগেই আছেন। আমি খারাপ আচরণ করেছি প্রমাণ করতে পারলে কর্তৃপক্ষ আমার বিরুদ্ধে যা ব্যবস্থা নেবে তাই মেনে নেবো।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, ‘ভিসি স্যার এটা নিয়ে বসবেন। তদন্ত কমিটি গঠন করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’