জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে রেজিস্ট্রার নিয়োগ চান জাবির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে রেজিস্ট্রার নিয়োগের জন্য উপাচার্য বরাবর আবেদন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। মঙ্গলবার (২৮ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তিনটি সংগঠন- অফিসার সমিতি, কর্মচারী সমিতি ও কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ‘রেজিস্ট্রার নিয়োগ’ প্রসঙ্গে উপাচার্য বরাবর আবেদন জমা দেওয়া হয়। আবেদনে সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষর করেন। 

আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘অফিসার সমিতি, কর্মচারী সমিতি ও কর্মচারী ইউনিয়নের যৌথ সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্তব্যরত কর্মকর্তাদের মধ্যে হতে সিনিয়রিটির ভিত্তিতে রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব দানের অনুরোধ করা হলো।’

এ বিষয়ে অফিসার সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন বলেন, ‘যৌথসভা করে আমরা তিনটি সংগঠন থেকে  উপাচার্যকে জানিয়ে দিয়েছি যে অতীতের মতো এই বিশ্ববিদ্যালয়ের (রেজিস্ট্রার হিসেবে) যার দায়িত্বকাল শেষ হয়ে যায়, পরবর্তীতে যিনি সিনিয়র থাকেন তাকে যেন দায়িত্ব দেওয়া হয়। এটা অতীত থেকে হয়ে আসছে এবং আমরা চাই এটাই বহাল থাকুক।’

কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি বিপ্লব খান বলেন, ‘আমরা আভাস পেয়েছি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পদে একজন শিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়ার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। যেখানে রেজিস্ট্রার ভবনে অনেক যোগ্য ডেপুটি রেজিস্ট্রার রয়েছেন। আমাদের দাবি তাদের মধ্যেই সিনিয়রিটি অনুসরণ করে রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব দেওয়া হোক।’

এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য মো. নূরুল আলমকে একাধিকবার ফোন করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিবিধি অনুযায়ী কর্মকর্তাদের চাকরির বয়সসীমা ৬২ বছর। বর্তমান রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজের চাকরির মেয়াদ গত ৩০ অক্টোবর শেষ হয়। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও সেশন বেনিফিট সুবিধায় তিনি ১ নভেম্বর থেকে সাবেক উপাচার্য ফারজানা ইসলামের নির্দেশে অফিসে যোগদান করেন। তবে আগামী বুধবার (২৯ জুন) বর্তমান ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজের সর্বশেষ কর্মদিবস। 

এদিকে, গত রবিবার (২৬ জুন) এক বছর আগে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে তড়িঘড়ি করে এবং নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পদে পছন্দের প্রার্থীকে রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ দিতে তোড়জোড় করার অভিযোগ ওঠে। সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার নিজেই এ পদের একজন প্রার্থী হয়ে ইন্টারভিউ কল চিঠি ইস্যু করেন। ২৪ ঘণ্টারও কম সময় দিয়ে অন্য প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকেন। তবে মাত্র ছয়ঘণ্টা আগে সাক্ষাৎকারের ডাক পেয়ে বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা উপস্থিত থাকতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে নিয়োগ বোর্ড বসার নির্ধারিত সময়ের ত্রিশ মিনিট আগে তা স্থগিত করা হয়।