পর্দা নামলো উইমেন্স লেন্স আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবের

পর্দা নামলো প্রথম উইমেন্স লেন্স আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবের। দেশ ও বিশ্বের স্বাধীন নারী চলচ্চিত্র নির্মাতাদের উৎসাহ দিতে এবং তাদের কাজকে বৃহত্তর দর্শকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে দেশে প্রথমবারের মতো এ ধরনের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) চলচ্চিত্র সংসদ।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) রাজধানীর ফরাসি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ‘আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ’-এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের আয়োজিত উইমেন্স লেন্স আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এ বছরের আন্তর্জাতিক নারী দিবসে যাত্রা শুরু করে উইমেন্স লেন্স আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসব (WLISFF)। উৎসবের প্রথম আসরেই ৩০টি দেশ থেকে প্রায় ১০০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র জমা পড়ে। তার মধ্যে থেকে সেরা ৩০টি চলচ্চিত্র স্থান করে নেয় সমাপনী প্রদর্শনীতে। উৎসবে দক্ষিণ আফ্রিকার স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘কুয়া’ শ্রেষ্ঠ অ্যানিমেশন এবং পর্তুগিজ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আন্দ্রে লইভ’ অ্যাকশন ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার অর্জন করে।

চলচ্চিত্র প্রদর্শনী পর্ব শেষে ‘নারীর জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টি’ বিষয়ে একটি আলোচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন ঢাবি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক শামীম আখতার, চলচ্চিত্রকর্মী ও নির্মাতা ফৌজিয়া খান। আলোচনা পর্বটি পরিচালনা করেন চলচ্চিত্র সমালোচক ও সংবাদকর্মী সাদিয়া খালিদ রীতি।

ড. কাবেরী গায়েন বলেন, ‘চলচ্চিত্র শিল্পে নারীরা শুরু থেকেই শিল্পের মাধ্যমে মুক্তির পথ খুঁজেছে। কিন্তু সমাজে তাদের অবস্থানের জন্য নিজের প্রতিভা সবার সামনে তুলে ধরার সুযোগ হয়ে ওঠে না।’

ফৌজিয়া খান বলেন, ‘সিনেমার বাণিজ্য সম্পূর্ণভাবে যন্ত্রনির্ভর। যন্ত্রের বিবর্তনের মাধ্যমে সিনেমার মেকিং পরিবর্তন হয়েছে। ২০২২ সালে এসে আমরা চাইলে কোনও প্রযোজক ছাড়াই নিজের মেধা আর শ্রম দিয়ে সিনেমা বানিয়ে ফেলতে পারি। উইমেন্স লেন্স দেশ-বিদেশের নারীদের নিজের চিন্তাধারাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরার একটি মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছে।’