ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে আটক ৩ জনের একবছর করে কারাদণ্ড

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে জালিয়াতির অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীসহ তিন জনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) মানবিক ইউনিটভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা চলাকালে তাদের আটক করা হয়। পরে প্রক্টর দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের প্রত্যেককেই এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— এখলাছুর রহমান ও মো. সজিব  ও জান্নাতুল মেহজাবিন। এর মধ্যে এখলাছুর ঢাবির সংগীত বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। তিনি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেমের ছেলে। সজিব ঢাকার নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা আব্দুস সালামের ছেলে। তবে তিনি কোথায় পড়াশোনা করেন জানা যায়নি। এ ছাড়া মেহজাবিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, ‘এ’ ইউনিটের প্রথম শিফটের পরীক্ষার্থী ছিলেন লিমন নামে একজন। তার সিট পড়েছিল ড. এম  এ ওয়াজেদ মিয়া অ্যাকাডেমিক ভবনে। তার পরিবর্তে প্রক্সি দিতে আসেন এখলাছুর। পরীক্ষা চলাকালে তাকে আটক করা হয়।

দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষায় ড. সত্যেন্দ্রনাথ বসু অ্যাকাডেমিক ভবনে সিট পড়ে তানভীর আহমেদ নামে এক শিক্ষার্থীর। যার রোল নম্বর—৩৯৫৩৪। তবে তার পরিবর্তে পরীক্ষা দিতে আসেন  মো. সজিব। পরীক্ষা চলাকালে র‍্যাব তাকে আটক করে।

এ ছাড়া তৃতীয় শিফটে স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু অ্যাকাডেমিক ভবনে প্রক্সি দিতে এসে আটক হন মেহজাবিন। তিনি  ইশরাত জাহান নামের এক ছাত্রীর প্রক্সি দিতে আসেন। যার রোল—৬২৮২৮।

পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার কৌশিক আহমেদ প্রত্যেককেই এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক বলেন, ‘এ ইউনিটের প্রথম শিফটের পরীক্ষা চলাকালে সন্দেহ হওয়ায় দুই ছাত্র ও এক ছাত্রীকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ তারা প্রক্সির বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ইউনিটের পরীক্ষা চলাকালে সন্দেহ হওয়ায় দুই ছাত্র ও এক ছাত্রীকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের তার প্রক্সির বিষয়টি স্বীকার করেন।  পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।’