চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ২০

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এএফ রহমান হলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় চলা এই সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষে জড়ানো পক্ষ দুটি হলো—শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক উপগ্রুপ বিজয় ও ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স)। এর মধ্যে বিজয় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং ভিএক্স চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী। আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, বছরখানেক আগে এএফ রহমান হলের দেওয়ালজুড়ে বিজয় গ্রুপের চিকা মারা হয়। হলটিতে বিজয় গ্রুপ একক আধিপত্য রয়েছে। তবে গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার চিকা মেরে নিজেদের অবস্থান জানান দেয় ভিএক্স। এসব চিকা মুছে দেওয়াকে কেন্দ্র করেই এ সংঘর্ষ শুরু হয়।

এদিকে সংঘর্ষ চলাকালে এএফ রহমান হলের অর্ধশতাধিক রুম ভাঙচুর করে বিজয়ের নেতা-কর্মীরা। বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বিবাদমান পক্ষ দুটি। এছাড়া দেশীয় অস্ত্র নিয়েও মহড়া দিতে দেখা যায়। শিক্ষক ও কর্মরত সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হওয়ার অভিযোগও উঠেছে বিজয় গ্রুপের কর্মীদের বিরুদ্ধে।

ভিএক্স গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তীকে বলেন, ‘শুক্রবার ভোরে বিজয়ের ছেলেরা আমাদের চিকা মুছে দিয়েছে। ভিএক্সের কর্মীরা এটার প্রতিবাদ করলে সংঘর্ষ ঘটে।’

বিজয় গ্রুপের একাংশের নেতা আল আমিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ভিএক্সের কর্মীরা বহিরাগতদের নিয়ে ক্যাম্পাসে ফায়ার করেছে। মুখ ঢাকা অবস্থায় হলে প্রবেশ করে বিজয়ের ছাত্রদের রুম ভাঙচুর করছে। অনেকেই হলের রুমে আটকা পড়ছে। আমরা এর বিচার চাই।’

সহকারী প্রক্টর এসএএম জিয়াউল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা দুই পক্ষের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে সমঝোতার চেষ্টা করছি। নিরাপত্তার জন্য ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শিক্ষক ও সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হওয়ার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক।’