সবুজায়নে বদলে যাচ্ছে খুবির ক্যাম্পাস

সবুজ ক্যাম্পাস গড়তে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) শুরু হয়েছে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুই সহস্রাধিক ফলজ, বনজ, ঔষধি জাতীয় ও সৌন্দর্যবর্ধক বৃক্ষের চারা রোপণ করা হয়েছে। এতে একদিকে একটি সবুজ ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে উঠবে, তেমনি শোভাবর্ধক বৃক্ষের মাধ্যমে ক্যাম্পাস আরও সৌন্দর্যমণ্ডিত হবে। 

জানা গেছে, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়কের দুই পাশে, অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন, আবাসিক হলসমূহ, নতুন উদ্বোধনকৃত ক্যাফেটেরিয়ার পাশে, নির্মাণাধীন জয়বাংলা ভবন থেকে ৩ নম্বর অ্যাকাডেমিক ভবন পর্যন্ত রাস্তা, কেন্দ্রীয় মসজিদ ও খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ হলের মাঝামাঝি নিচু স্থানে, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও অপরাজিতা হলের মাঝামাঝি স্থানে, কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের পাশে ও অদম্য বাংলার পেছনে এবং কেন্দ্রীয় মন্দিরসহ বিভিন্ন স্থানে অন্তত ২০ প্রজাতির বৃক্ষরোপণ করা হয়।

এ ছাড়া যে সব স্থানে নতুন করে স্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে সেসব স্থানের পাশেও বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২ প্রজাতির ফলজ ও ৮ প্রজাতির বনজসহ বিভিন্ন প্রজাতির শোভাবর্ধক গাছ রয়েছে। এই বৃক্ষ ক্যাম্পাসকে পরিবেশবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি এর ফুল ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো-তে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। কার্বন নিঃসরণ, বৈশ্বিক উষ্ণতা কমানো এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষরোপণের অবদান গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া মানবজাতিসহ প্রাণিকূলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য নির্মল প্রাকৃতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে পরিকল্পিতভাবে পর্যাপ্ত গাছ লাগানো একান্ত প্রয়োজন।’

তিনি আরও বলেন, ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পরিবেশ সুরক্ষাকে প্রাধান্য দেওয়ার পাশাপাশি বছরজুড়ে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চলমান থাকে। এতে একদিকে যেমন পরিবেশ সুরক্ষিত থাকে, তেমন অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার এবং এখানে আগত অতিথিরা এই সৌন্দর্য্য দেখে মুগ্ধ হন। সেসব বিষয় খেয়াল রেখেই পরিবেশ সুরক্ষা ও ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যবর্ধনের লক্ষ্যে এ পর্যন্ত দুই হাজারেরও বেশি গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে।’