স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ ৮২তম নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। রবিবার বিকালে বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় শুরু হয় আয়োজন। এ সময় নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

সোমবার (৪ মার্চ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়ার জন্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইংরেজি বিভাগের সভাপতি শেখ নাহিদ নিয়াজি, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আব্দুল মান্নান ও রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আব্দুল মতিনসহ ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকমণ্ডলী এবং বিভাগের অন্য শিক্ষার্থীরা।

অতিথিরা নতুন শিক্ষার্থীদের শুধু বিভাগে সাদরে গ্রহণই করে নেননি বরং বিশ্ববিদ্যালয়জীবন এবং পরবর্তী জীবনে তাদের পথচলা যেন সুন্দর ও সাফল্যমণ্ডিত হয়, সেই কামনা করেন।

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকরা নতুন ও পুরোনো শিক্ষার্থীদের মেধা ও মননের বিকাশ এবং মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার ব্যাপারে আলোকপাত করেন। শিক্ষকদের মূল্যবান কথামালার ফাঁকে চলে কখনো বাংলা গান কখনো কবিতা।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে মঞ্চে চলতে থাকা রাইসার কণ্ঠে কবি ওয়ার্ডসওয়ার্থের 'সলিটেয়ার রিপার' আর দেবপ্রিয়ার কণ্ঠে রবীন্দ্রসংগীত 'ও যে মানে না মানা'র যুগলবন্দী গানের মাধ্যমে ফুল দিয়ে নতুন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেন বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থীরা। এর সঙ্গে নতুনের আগমনী বার্তা হিসেবে যুক্ত হয় সদ্যপ্রয়াত ভবানীপ্রসাদ মজুমদারের 'বাংলাটা ঠিক আসে না' আবৃত্তি করেন ইরিনা।

স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাস জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে মঞ্চে আসেন ৮২তম ব্যাচের মুনতাহা ইশরাত শৈলী। এরপর স্বরচিত উর্দু সায়েরি নিয়ে মঞ্চে আসেন ৭৯তম ব্যাচের তাসনিম জামান রাফা। রাফার সায়েরির রেশ যখন ৮২-এর নতুনদের সফলতায় 'ধৈর্য আর অপেক্ষার' উপজীব্যতা জানাচ্ছে, তখন এড শেরেনের গান নিয়ে মঞ্চে আসেন লিখন, যার সঙ্গে গিটারে ছিলেন পল।

লিখনের কণ্ঠে নতুনদের উদ্দেশে গেয়ে শোনান 'জলের গান'সহ কয়েকটি লোকগীতি। এই গানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।