অনলাইনে দেওয়া যাবে কোর্ট ফি, সংসদে বিল পাস

সংসদজালিয়াতি রোধসহ কোর্ট ফি সহজীকরণের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বিল পাস হয়েছে। বিলটি আইনে পরিণত হলে জনগণ অনলাইনে/ই-পেমেন্টের মাধ্যমে কোর্ট ফি জমা দিতে পারবেন। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ‘কোর্ট ফিস (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০১৬’ সংসদে বিলটি প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।
এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিলটি সংসদে তোলেন আইনমন্ত্রী। পরে সেটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, কোনও ধরনের স্ট্যাম্প বিক্রিতে যদি অনুমোদিত কোনও ব্যক্তি আইনের বিধি ভাঙে এবং অননুমোদিত কোনও ব্যক্তি স্ট্যাম্প বিক্রি করে তাহলে তার ছয় মাসের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হবে। বর্তমানে ৫০০ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
বিদ্যমান আইনে বলা আছে, কোর্ট ফি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে, যদি না পাওয়া যায় তা নগদে পরিশোধ করতে হবে।

বিলে সংশোধনীতে ইলেক্ট্রনিক ও ডিজিটাইজ ট্রান্সজেকশনের বিধান রাখা হয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে, সরকার তফসিলি ব্যাংক, মোবাইল অপারেটর, মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে কোর্ট ফি নিতে এবং রিফান্ড করতে পারবে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে আইনমন্ত্রী বলেন, নামজারি, জমির পর্চা ইত্যাদি সেবাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষকে কোর্ট ফি জমা দিতে হয়। কিন্তু সহজলভ্য না হওয়ায় কোর্ট ফি প্রদানের সময় সাধারণ জনগণকে অনেক ক্ষেত্রে হয়রানির শিকার হতে হয়। এই হয়রানি রোধকল্পে সহজেই এবং দ্রুততার সঙ্গে জনসেবা পৌঁছে দেওয়ার স্বার্থে ই-পেমেন্টের মাধ্যেমে/ অনলাইনে কোর্ট ফি জমার সুযোগ সৃষ্টি করতে বিদ্যমান আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা অত্যন্ত প্রয়োজন। সংশোধনী আনা গেলে কোর্ট ফি ছাপানো, সংরক্ষণ ও পরিবহনের বিশাল ব্যয় হ্রাসসহ জালিয়াতি রোধ করা সম্ভব হবে। একইসঙ্গে তা দেশের সব শ্রেণির মানুষকে বিভিন্ন প্রয়োজনে কোর্ট ফি জমা দিতে অহেতুক ভোগান্তি থেকে রক্ষা করবে।

/ইএইচএস/এএইচ/

আরও খবর পড়ুন-

সিম পুনঃনিবন্ধনআরও সময় চায় মোবাইলফোন অপারেটরগুলো, সিদ্ধান্ত শনিবার