পরোক্ষ কর অসমতা বাড়ায়: মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম

মির্জ্জা আজিজুল ইসলামসাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম মনে করেন, পরোক্ষ কর অসমতা বাড়ায়। সমতা বৃদ্ধির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এ বাজেটে দেখা যাচ্ছে না।
শনিবার বাংলা ট্রিবিউন কার্যালয়ে আয়োজিত ‘কেমন বাজেট পেলাম’ শীর্ষক বাংলা ট্রিবিউন বৈঠকিতে তিনি এসব কথা বলেন।
 আরও পড়ুন: বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে: মোস্তাফিজুর রহমান
মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোটা জরুরি। এবারের বাজেটে ৭ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেটা অর্জনের জন্য আমাদের ৩২ শতাংশ বিনিয়োগ দরকার। চলতি অর্থবছরে বিনিয়োগ ছিল জিডিপি’র ২৯ শতাংশ। সেটা যদি বৃদ্ধি করতে হয় তাহলে তা বেসরকারি খাত থেকে আসতে হবে। এই বিনিয়োগের বিষয়ে সরকার এই বাজেট কী করতে পারে সেটা দেখার বিষয়।

বাংলা ট্রিবিউন বৈঠকিতে অতিথিরাতিনি আরও বলেন, বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা ভর্তুকি চান। বিনিয়োগের জন্য বড় প্রয়োজন পরিবহন ও বন্দর সুবিধাসহ অবকাঠামো, গ্যাস ও বিদ্যুতের সরবরাহ, দক্ষ শ্রমিক। এছাড়া ভালো ব্যবসা করতে সার্বিকভাবে সুশাসন থাকা অত্যন্ত জরুরি। আমি মনে করি বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে চাইলে বাজেটে এ বিষয়গুলোতে দৃষ্টি দিতে হবে।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগ নির্ভর নাকি কর নির্ভর বাজেট: শওকত হোসেন মাসুম

বাজেটের ইতিবাচক দিক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, এ বাজেটের ইতিবাচক হলো- শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে যা ছিল ১১ দশমিক ৬ শতাংশ।  ২০১৬-১৭  অর্থবছরে বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ। এছাড়া স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দের প্রস্তাবটাও ইতিবাচক বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ। কিন্তু এখানে চ্যালেঞ্জ হলো বরাদ্দ কিভাবে ব্যবহার করা হবে।
বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে আমাদের প্রাপ্তি আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিষেধক কেয়ারে আমাদের দুর্বলতা আছে। কমিউনিটি ক্লিনিক হওয়ার পর ফাঁক রয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: বাজেট বাস্তবায়নটা বড় চ্যালেঞ্জ, দরকার সুশাসন

বাংলা ট্রিবিউনের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদ জুলফিকার রাসেলএর আগে বাজেট দেওয়ার অভিজ্ঞতার বিষয়ে কিছু বলার অনুরোধ জানালে মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, সেটা একদশক আগে। তবে বাজেটের বিষয়ে আমি দুটো জিনিস লক্ষ্য রাখতাম। এক হলো- দেশের বাস্তবচিত্র আর দ্বিতীয় হলো উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন ক্ষমতা কতটা আছে। সার্বিকভাবে বাজেট যেন বাস্তবযোগ্য হয় সেটাই জরুরি।

মিথিলা ফারজানার সঞ্চালনায় বৈঠকিতে উপস্থিত আছেন- সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম, মেঘনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আমিন, বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক জ্যৈষ্ঠ সহ-সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী, এফবিসিসিআই’র সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হেলাল উদ্দিন, বাংলাদেশ নারী উদ্যোক্তা সমিতির সাবেক সভাপতি নাসরিন আওয়াল মিন্টু ও বাংলা ট্রিবিউনের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জুলফিকার রাসেল।

আরও পড়ুন: 
যারা কর দিচ্ছেন তাদের ওপরই চাপ আসবে: আহমেদ রশিদ লালী
স্বপ্ন না দেখলে এগুনো যায় না: নাসরিন আওয়াল মিন্টু








/ইউআই/এসএনএইচ/