তার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্যই পুলিশ এই ছবিটি প্রকাশ করেছে।
কে এই মারজান? পুলিশ জানিয়েছে, হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার সময় জেএমবির মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরী পাঁচ হামলাকারীকে নিয়ে গুলশানে যান। তামিমের সঙ্গে মারজানও ছিলেন। এরপর পাঁচজনের গ্রুপটি দুইভাবে বিভক্ত হয়ে পায়ে হেঁটে হলি আর্টিজানে প্রবেশ করে। তখন মারজান কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় চলে আসেন।|
মনিরুর ইসলাম বলেন, ‘হলি আর্টিজানে হামলার পর জঙ্গিরা গোপন অ্যাপসের মাধ্যমে যে ছবি বাইরে ছড়িয়ে দিয়েছিল সেই ছবি মারজানের কাছে এসেছিল। তিনি ওই লিংক ওপেন করেছিলেন। মারজান তার জেএমবি থেকে দেওয়া সাংগঠনিক নাম। তার আসল নাম এখনও জানা যায়নি। তার আরও সাংগঠনিক নাম থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।’
অপর এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মারজান উচ্চ শিক্ষিত। ধারণা করা হচ্ছে তিনি ঢাকাতেই আছেন। গত সপ্তাহে গ্রেফতারকৃত এক জঙ্গির মোবাইল থেকে মারজানের ছবিটি সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই জেএমবি সদস্য পুলিশকে জানিয়েছেন, মারজান নামেই জঙ্গি সংগঠনে তার পরিচয়। তার বাড়ি কোথায়, কি করেন তা তারা জানেন না।’
পুলিশ জানিয়েছে, জেএমবির প্রচার বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন মারজান। গুলশান হামলার পর জঙ্গিরা যে নাশকতার ছবি পাঠিয়েছিল, তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ ছিল তার। জঙ্গিদের সঙ্গে অ্যাপসের মাধ্যমে তিনি কথাও বলেছিলেন। হলি আর্টিজানের নাশকতার ভেতরের ছবি মারজানের কাছে পাঠানোর পর তার প্রশংসা করেছিলেন মারজান। মারজানের প্রশংসা পেয়ে জঙ্গিরাও খুশি হয়েছিল।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, মারজান কল্যাণপুর বসে পুরো গুলশানের হামলাটি মনিটরিং করেন। তবে কল্যাণপুরে তিনি হামলার পর আর অবস্থান করেননি।
মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, মারজানের বিষয়ে তথ্য পাওয়ার জন্য তার ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। উচ্চ শিক্ষিত। তিনি জেএমবির অন্য সদস্যদের কাউন্সেলিংও করাতেন।
আরও পড়তে পারেন: গুলশান হামলার আরেক মাস্টারমাইন্ড 'মারজান'
/এআরআর/ এমএসএম/