ঢাকায় অবতরণ:
সোমবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে একটি বিশেষ বিমানে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন জন কেরি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী তাকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান। সেখান থেকে র্যাডিসন হোটেলে গিয়ে তিনি কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন।
হোটেল থেকে বের হয়ে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে আসেন কেরি। সেখানে তিনি বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন বইতে তিনি বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু নিয়ে তার অনুভূতির কথা লিখেন।
বিস্তারিত পড়ুন: বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে জন কেরির ২০ মিনিট
বেলা পৌনে ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে পৌঁছান কেরি। সেখানে বৈঠকে বসেন দুই নেতা। বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এসময় জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমনে দুই দেশকে এক সঙ্গে লড়াই করার আহ্বান জানান মার্কিন এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পড়ুন: জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ ছাড়া আরও যেসব বিষয়ে আলোচনা হয় প্রধানমন্ত্রী ও জন কেরির
এদিকে সফরকালে টুইটারে নিজ অ্যাকাউন্ট থেকে দুইটি টুইট করেন জন কেরি। টুইটে বাংলাদেশের উন্নয়নের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন তিনি। একটি টুইটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের ছবিও পোস্ট করা হয়।
পড়ুন: কেরির টুইটে বাংলাদেশকে নিয়ে উচ্ছ্বাস
দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক:
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পরে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায়। আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পরে পদ্মাতেই ওয়ার্কিং লাঞ্চে অংশ নেন তিনি।
ইএমকে সেন্টারে বক্তৃতা:
পরে বিকালে এডওয়ার্ড এম কেনেডি সেন্টার ফর পাবলিক সার্ভিস অ্যান্ড আর্টস (ইএমকে সেন্টার) জন কেরি একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এডওয়ার্ড কেনেডি ম্যাসাচুসেটস এর অধিবাসী ছিলেন, জন কেরিও সেই অঞ্চলের লোক। ফলে কেনেডির টানে ধানমণ্ডি ২৭ নম্বর সড়কে অবস্থিত এডওয়ার্ড কেনেডি সেন্টারে (ইএমকে সেন্টার) সোমবার বিকালে বক্তৃতা করেন কেরি।
ওই বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সন্ত্রাসীরা এদেশেরই কিন্তু তাদের সঙ্গে বিদেশি সন্ত্রাসীদের যোগাযোগ থাকতে পারে।’
বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ:
ইএমকে সেন্টারেই বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি। এসময় রওশন এরশাদ তাকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের জন্য জিএসপি সুবিধা ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার বাড়ানোর আহবান জানান। জবাবে কেরি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।
পড়ুন: কেরিকে জিএসপি সুবিধা বাড়ানোর আহ্বান রওশনের
বিকাল সোয়া ৪টার দিকে কেরি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে গুলশানের যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে বৈঠক করেন। বৈঠক প্রসঙ্গে ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘খালেদা জিয়ার সঙ্গে জন কেরি জঙ্গিবাদ, স্বাধীনতা, মানবাধিকার, আইনের শাসন নিয়ে আলোচনা করেছেন।’
ঢাকা ত্যাগ:
ব্যস্ততা পূর্ণ দিন কাটিয়ে সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সফরসঙ্গীসহ বিশেষ বিমানে চড়ে ঢাকা থেকে দিল্লির পথে রওনা হন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি।
/এনএস/টিএন/