এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া-বিষয়ক মুখ্য উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম ই টডের কাছেও নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ তৈরির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছিল বিএনপি।
বিএনপির পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে কাজ করেন, এমন এক নেতার কথা হয়েছে বৈঠকে অংশ নেওয়া এক নেতার সঙ্গে। পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে কাজ করা ওই নেতা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ’বৈঠকে দেশে জঙ্গিবাদের বিস্তার, গুলশানের হামলাসহ নানা বিষয়ে কথা হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, জন কেরি ও খালেদা জিয়া অল্প সময়ের জন্য একান্তে আলোচনা করেছেন। সেখানে কী আলোচনা হয়েছে, তা জানা যায়নি।
গত ১৬ মে বাংলাদেশ সফররত টড ওই সময় বিএনপির প্রতিনিধি দলকে ‘টেকসই গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে পরামর্শ দিয়েছিলেন।ওই বৈঠকে টডকে বিএনপির তরফে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র সারা দেশে খুন, কেন্দ্র দখল ও জাল ভোট প্রদানের তথ্য-সংবলিত একটি পরিসংখ্যানপত্র দেওয়া হয়েছিল।
অন্যদিকে সোমবারের বৈঠকে অংশ নেওয়া বিএনপি নেতা দাবি করেন, মানবাধিকার, রাজনৈতিক কর্মীদের জেল ও গ্রেফতারের বিষয়েও বৈঠকে কথা হয়। প্রায় ৪০ মিনিট বৈঠকটি চলে।
বৈঠকে বিএনপির তিন নেতা উপস্থিত ছিলেন। এরা হলেন, ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাবিহ উদ্দিন।
বৈঠক সূত্র জানায়, জন কেরির কাছে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। এ ছাড়া নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি প্রাধান্য পায় বলে সূত্রটি দাবি করেছে। সূত্রটি আরও জানায়, বৈঠকের ফলাফল ও জন কেরির মনোভাব জানতে আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে।
বিএনপির পক্ষ থেকে জন কেরিকে কোনও নথিপত্র দেওয়া হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে সূত্র জানায়, ‘কোনও ডকুমেন্টস দেওয়া হয়নি। সমুদ্র ও সেন্ট মার্টিন নিয়েও কোনও কথা ওঠেনি।’
বিএনপির কূটনীতি নিয়ে কাজ করেন, এমন একজন ভাইস চেয়ারম্যান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ পুরনো। আমরা বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়েছি। কারণ, ২০১৪ সালের নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমাদের আপত্তি জনস্বীকৃত। এক্ষেত্রে বিগত কয়েক মাসে বাংলাদেশে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর নিপীড়নের দিকটি বিবেচনায় নিলে নির্বাচন তো অপরিহার্য বিষয়। এ ছাড়া জিএসপি নিয়েও আমাদের আগ্রহ আছে।’
/এসটিএস/এআরএল/
আরও পড়ুন: